ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হলেও কারিগরির পরীক্ষা হবে। এ শিক্ষা হাতে-কলমে শিখতে হয় বলে তাদের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২১ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ বিষয়ে পরীক্ষা ছাড়া ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হলেও কারিগরি শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। কারিগরি শিক্ষার্থীদের লেখার চাইতে ব্যবহারিক পরীক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। সেটি না শিখলে তাকে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, কারিগরি স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পরীক্ষা নেয়া বলে জানান তিনি।

গত আট মাস ধরে কারিগরি-ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। এরপর তাদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশ হবে।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় ডিপ্লোমাধারীরা কর্মস্থলে যোগদান করতে পারছে না। দীর্ঘসময় এ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে থাকায় তারা বিপাকে পড়েছে। তাদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা আয়োজনের কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কারিগরির সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করতে এনসিটিবি নতুন করে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তার আলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট করতে দেয়া হবে। এটি মূল্যায়নের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে।

এমএইচএম/এসআর/এমকেএইচ