ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি বাউবির ৪৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

বগুড়ার সোনাতলায় প্রবেশপত্র না আসায় বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ৪৮ জন শিক্ষার্থী। শুক্রবার পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন তাদের প্রবেশপত্র কেন্দ্রে আসেনি। এতে করে তারা বিক্ষোভে ফেটে পরেন।

জানা গেছে, ভেলুরপাড়া এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউটোরিয়াল কেন্দ্র হিসেবে চালু রয়েছে। কেন্দ্রের কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন ভেলুরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী বিএসসি শিক্ষক আবদুল লতিফ।
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে এই কেন্দ্রে এসএসসি প্রোগ্রামে মোট ১২৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেধে দেয়া নির্ধারিত কোর্স ফি ২ হাজার ১২৫ টাকা হলেও আবদুল লতিফ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করেন। এসব শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করে আসছিল। শুক্রবার তারা এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন ৪৮ জন শিক্ষার্থীর কোনো প্রবেশপত্র আসেনি।

সোনাতলার পাকুল্যা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে লিপু মিয়া বলেন, প্রতি সপ্তাহে ক্লাস করেছি, কিন্ত পরীক্ষা দিতে এসে জানতে পারি আমাদের প্রবেশপত্রই আসেনি।

সুখানপুকুরের আমিনুল ইসলাম বলেন, এতোগুলো শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।

কেন্দ্রের বর্তমান কোর্স কো-অর্ডিনেটর মজিবুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে ছাপানো রশিদ সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের তা সোনালী ব্যাংকের শাখায় কোর্স ফি জমা দেয়ার কথা। কিন্ত ওই ৪৮ জন শিক্ষার্থী তা না দিয়ে সাবেক কোর্স সমন্বয়কের কাছে টাকা জমা দেন। ৪৮ জনের নাম ওই বছরে নিবন্ধন না করে পরের শিক্ষাবর্ষে নিবন্ধন করেছে। ফলে তাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আসেনি।

তিনি বলেন, ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে পরের বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে নতুন করে আরো ১ হাজার ৭৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। সিলেবাসও এখন পরিবর্তন হয়েছে। আগামী বছর থেকে পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে।

তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবদুল লতিফের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

লিমন বাসার/এসএস/আরআইপি