পিইসিতে অটো পাসের কোনো চিন্তা নেই : প্রতিমন্ত্রী
কোভিড-১৯ মহামারি শেষে সেপ্টেম্বরে স্কুল খুললে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) কেন্দ্রীয়ভাবে সীমিত পরিসরে, এর পরে খুললে স্কুলে স্কুলে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। তবে এক্ষেত্রে অটো পাসের কোনো চিন্তা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তো পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে। পিইসি পরীক্ষা নিতে হলে পাঠদানের যে সময় আছে, সেই সময় তো আর পাচ্ছি না। আমরা যদি সেপ্টেম্বরের দিকে স্কুল খুলে দিতে পারতাম তাহলে শর্ট সিলেবাসে একটা পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল। এখন যেহেতু সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলতে পারব কিনা আমরা তো বলতে পারছি না।’
অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে স্কুল খুললে তখন প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে- জানতে চাইলে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্কুলে স্কুলে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। তখন হয়তো ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। যদি সম্ভব হয় এমসিকিউ আমরা করতে পারি।’
নভেম্বরের মধ্যে যদি স্কুল খোলা না যায় তখন কী হবে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তখন বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের অটো পাসের কোনো চিন্তা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মহোদয়ের ওখানে মাধ্যমিকের সচিব ও আমাদের সিনিয়র সচিব কথা বলেছেন। আলোচনা করেছেন যে, এই রকম (অটো পাস) কিছু করা যায় কিনা!’
‘আমরা আগামী সপ্তাহে আমাদের পরিকল্পনাগুলো, তিনটি পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। তিনি যেটা মূল্যায়ন করবেন, আমাদের সিদ্ধান্ত দেবেন- সেটাই আমরা বাস্তবায়ন করব। পরীক্ষা নেয়া হবে না বা হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা আমরা রাখব, পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
অন্যান্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
আরএমএম/এসএইচএস/এমকেএইচ
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন