ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

প্রয়োজনে শুক্র-শনিবার ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ২৪ জুন ২০২০

করোনা মহামারিতে সবকিছুই তো ওলাট-পালট হয়ে গেল। বিপর্যয় সর্বত্রই। তবে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ক্ষতি হলো তা অকল্পনীয়। এই ক্ষতি যেনতেনভাবে পোষানো সম্ভব নয়। প্রয়োজনে শুক্র-শনিবার ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে। কিন্তু সবার আগে জীবন। বেঁচে থাকলে সবকিছুই সামলে নেয়া সম্ভব হবে।

বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। করোনা পরিস্থিতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব ও করণীয় নিয়ে জাগো নিউজের কাছে মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘প্রাণ বাঁচিয়ে রাখার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না। এমনকি শিক্ষাও না। এখন অন্তত মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার ভাবনাই সর্বাগ্রে ভাবতে হচ্ছে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপায়ে যেমন অনলাইন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে। এটিই সময়ের শিক্ষা।’

তিনি বলেন, ‘মহামারির মতো অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমাদের কাছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। বিরোধী জোটের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মধ্যেও আমাদের পরীক্ষা নিতে হয়েছে। হয়তো ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি তখন। পরবর্তীতে বাড়তি ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করেছেন। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সবকিছুই প্রায় স্থবির। শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ক্ষতি হলো বা আরও হবে তা সহজে দূর করা সম্ভব হবে না। তবে জীবন বেঁচে থাকলে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। সাধারণ ছুটি কমিয়ে বাড়তি ক্লাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এ উপলব্ধি সবার মধ্যে জাগ্রত করতে হবে।’

ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রশ্নে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের সার্বিক উপকারে আসতে পারেন। শিক্ষা প্রদানের বাইরেও দায় থাকে। অনেকের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। অনেকেই অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। খোঁজ নিয়ে সামান্য উপকার করতে পারলেই মানুষ মনে রাখবে।’

এএসএস/এমএসএইচ/এমএস