ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পরীক্ষা দেবে, এমন চিন্তা সরকারের

মুরাদ হুসাইন | প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ২৮ মে ২০২০

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা যেন বাসায় বসে দিতে পারে সেই চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের বাসায় পাঠাবেন। পরীক্ষার খাতা শিক্ষকরা মূল্যায়ন করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ফলাফল পৌঁছে দেবেন। এ জন্য বেশকিছু ভলেন্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবী) নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত দুই মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তা বাতিল করা হয়। বর্তমানে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আয়োজন নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার রুটিনে দেখা গেছে, প্রথম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক পরীক্ষা- ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা- ৯ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা- ১৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা ২ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত দুই মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসায় আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না।

'এ কারণে আমরা সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি শিক্ষকরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পড়ালেখার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের বাসায় রেখে কীভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেই কথা চিন্তা করছি।'

সচিব বলেন, 'গত ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা থাকলেও তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় বসে পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হতে পারে।'

তিনি বলেন, টেলিভিশনে যেসব বিষয়ে পাঠদান হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন প্রণয়ন করবেন। সেসব প্রশ্ন নির্ধারিত ভলেন্টিয়ারদের (স্বেচ্ছাসেবী) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হবে। ভলেন্টিয়ারদের মাধ্যমে উত্তরপত্রগুলো শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। শিক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন করে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেবেন।

দ্রুত এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হতে পারে বলেও জানান সচিব আকরাম আল হোসেন।

এমএইচএম/জেডএ/পিআর