ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে অনলাইন সেমিনার

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১৫ মে ২০২০

আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক যুগে প্রবেশ করেছে বিশ্ব। সময় যত বেগবান হচ্ছে, আধুনিকতার পাশাপাশি বিজ্ঞানের চর্চাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদাহারণ হলো কোভিড-১৯। আধুনিকতার সুযোগ নিয়ে শক্তিশালী এই ভাইরাস কয়েক মাসের ব্যবধানে যেমন গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে, তেমনি বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অতিদ্রুত এটা দমনের চেষ্টাও চলছে।

শুক্রবার (১৫ মে) রাজধানীর গ্রিন ইউনভাির্সিটি অব বাংলাদেশে ‘সেন্সিং, কম্পিউটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন টু কন্ট্রোল কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর রিচার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন এই সেমিনারের আয়োজন করে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মূল প্রবন্ধে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনাভাইরাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইল। হাঁচি-কাশি ছাড়াও নানাভাবে ছড়িয়ে থাকে এই রোগ। শুধু তাই নয়, একটা মানুষের হাঁচি থেকে ১ লাখ পর্যন্ত ড্রপলেট হতে পারে। যাতে আক্রান্ত হতে পারে হাজার হাজার মানুষ। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র মাধ্যম।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ইতোমধ্যেই ২১২টি দেশে ছড়িয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ৪২ লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়াও প্রায় দুই লাখ ৮৮ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। গত কয়েক মাস বিজ্ঞানীরা সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি করোনা মোকাবিলায় মানবশরীরে ডিভাইস লাগিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রাসহ অন্যান্য গতিবিধি পরিমাপ নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ‘ফিজিক্যাল সেন্সিং অ্যাপ্লিকেশন,’ ‘স্যোশাল সেন্সিং অ্যাপ্লিকেশন,’ ‘হিউম্যান সাইবার-ফিজিক্যাল সেন্সিং’সহ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা উপায় তুলে ধরেন।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারপারসন ও শিক্ষক-কর্মকতারা অংশ নেন। সেমিনার শেষে উপস্থিত শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তরের উত্তর দেন সেমিনারের মূল প্রবন্ধকার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এসআর/জেআইএম