৫০০ কোটি টাকা অনুদান চায় কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন
শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ওপর নির্ভর করে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে ৫০০ কোটি টাকা অনুদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। করোনার প্রাদুর্ভাবে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর শোচনীয় অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে প্রায় ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। এসব স্কুলে শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ওপর নির্ভর করেই শিক্ষকদের বেতন ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করতে বাধ্য হবে।
বেসরকারি স্কুল শিক্ষকরা কখনো সরকারের কাছে বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করেননি। এ স্কুলগুলো যদি না থাকতো তাহলে সরকারকে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করে প্রতি মাসে শিক্ষক বেতন বাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো। সেদিক থেকে বলা চলে আমরা সরকারের বিরাট রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে দিয়েছি। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এই করোনার কারণে আজ ভয়ানক আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তাদের কথা ও তাদের প্রতিষ্ঠানের কথা সরকারের গুরুত্বের সাথে ভাবা আজ একান্ত দরকার। বর্তমান পেক্ষাপটে কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও স্কুলের শিক্ষকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি যেন আমাদের জন্য কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেন।
কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিসেস মনোয়ারা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফারুক হোসেন, সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমান প্রমুখ।
এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ