করোনা পরিস্থিতিতেও টিউশন ফিতে ছাড় দিতে নারাজ দিল্লি পাবলিক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে থমকে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। ঘুরছে না অর্থনীতির চাকা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বাণিজ্যে ব্যস্ত রাজধানীর দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস এসটিএস) কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফে অভিভাবকদের দাবি নাকচ করে দেয়া হয়েছে। বরং ১০ কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন অভিভাবকরা।
জানতে চাইলে ডিপিএস এসটিএস স্কুলের অভিভাবক ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে অনেকে পরিবারের খাদ্য যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ডিপিএস এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের দাবি জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের অনেক খাতে ব্যয় কমে গেলেও শিক্ষার্থীদের কাছে শতভাগ টিউশন ফি আদায় করতে চাপ দেয়া হচ্ছে। টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমাতে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে দিয়েছে। দেশের সব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ৫০ শতাংশ ফি মওকুফে আমরা গত ২ মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি।
এই অভিভাবক নেতা আরও বলেন, সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন। বিপুল পরিমাণে অর্থ আয় হওয়ায় ইতোমধ্যে ঢাকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যায়ক্রমে আলাদা দুটি ক্যাম্পাস তৈরি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব বিত্তশালীর সামাজিক অনেক দায়বদ্ধতা থাকলেও তারা শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মাফ করতে চাচ্ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত অমানবিক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ হর্ষ ওয়াল বলেন, স্কুলটির পক্ষ থেকে বকেয়া টিউশন ফি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলমান সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিভাবকরা বকেয়া টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কোনো টিউশন ফি বাড়ানো হবে না।
এছাড়াও বার্ষিক টিউশন ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে ৪টি কিস্তি বাড়িয়ে ১০টি কিস্তি করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ০ শতাংশ সুদবিহীন ফি পরিশোধ করার বিষয়টির আলোচনাও চলমান এবং সাধারণ ছুটি চলাকালীন পরিবহন ফি বাবদ সংগ্রহ করা অর্থ ফের কার্যক্রম শুরু হলে অভিভাবকদের প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানো সম্ভব হবে না।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই শিক্ষাব্যবস্থা একটি অভূতপূর্ব সময়ের সম্মুখীন। সব সমস্যা মোকাবিলা করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল অনলাইনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করেছে। এ প্রতিকূল সময়ে আমরা আমাদের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সব অংশীজনদের সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমি আনন্দের সাথে বলতে চাই, আমাদের পরিচালিত সব অনলাইন ক্লাসে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বতস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি, অনলাইন ক্লাসগুলোতে উপস্থিতি ৮৫ শতাংশের বেশি।’
এমএইচএম/এনএফ/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল
- ২ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন চাকরি ছাড়া কিছুই ভাবতে দিচ্ছে না
- ৩ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ৫ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে