ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ফি মওকুফের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের বেতন-ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা করে এককালীন আর্থিক সহযোগিতা, লকডাউন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও মেস ভাড়া মওকুফের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ, শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার সংগঠনের ঢাকা নগর শাখার সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক অরূপ দাস শ্যাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, লকডাউনের কবলে পড়ে দেশের শ্রমজীবী-নিম্নবিত্ত মানুষ না খেতে পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভালো নেই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। যেসব ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা বেশিরভাগই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিরাট অংশ ঢাকা শহরে এসে টিউশন করে মেসে থেকে নিজেদের পড়ালেখার ব্যয়ভার বহন করে। অনেকে আবার টিউশন করে বাড়িতেও টাকা পাঠায়। হঠাৎ করে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। যারা লকডাউনে বাড়ি যেতে পারেনি তারা একবেলা খেয়ে কখনো বা না খেয়ে বা কখনো মাজারে খেয়ে দিন পার করছে।

এতে আরও বলা হয়, এর ওপরে আছে বাড়ি ভাড়া-মেস ভাড়ার চাপ। কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী মেসে থাকে। মালিকরা অব্যাহতভাবে বাড়ি ভাড়া-মেস ভাড়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে টিউশন করা শিক্ষার্থীরা আরো চরম সংকটে পড়বে। শুধু নিজের জীবনযাপনের খরচ নয়, এর ওপর যদি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ফিও দিতে হয়ে তাহলে অনেকের শিক্ষাজীবন চালানোই দুষ্কর হয়ে পড়বে। ফলে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে, তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।

সংগঠনের দাবি, লকডাউন চলা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া মওকুফ করতে হবে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের তালিকা করে তহবিল গঠন করে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। এত কিছু করা সম্ভব একমাত্র রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে। তাই দেশের এই দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ