‘মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান চ্যালেঞ্জ। উন্নতমানের শিক্ষার জন্য দরকার দক্ষ শিক্ষক। এজন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবর (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দফতরে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলিস এলব্রাইট নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে মহিবুল হাসান চৌধুরী একথা বলেন।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষকদের দেশে এনে স্থানীয় পর্যায়ে ভালোমানের শিক্ষক প্রশিক্ষক তৈরি করার কথা বলেন উপমন্ত্রী।
প্রতিনিধি দলের প্রধান এলিস এলব্রাইট বলেন, তার সংস্থা বাংলাদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, শিক্ষাখাতে গৃহীত সরকারের স্তরভিত্তিক কৌশল বাস্তবায়নে সংস্থাটি সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সাক্ষাতকালে মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষাখাতে নেয়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক স্তরে উন্নীত হয়েছে এবং মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার নানা পর্যায়ে উপবৃত্তি চালু করে।
দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সরকারের পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং আগামী ২০২১ সাল থেকে সাধারণ ধারার শিক্ষায়ও বৃত্তিমূলক ট্রেড আবশ্যিক করা হবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে যাতে বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করা যায়।
বছরের শুরুতেই বিনামূল্যে বই বিতরণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি খাত থেকে বেতন প্রদান, সরকারি–বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা কার্যক্রমের ফলে দেশে শিক্ষার সংখ্যাগত অগ্রগতি ঈর্ষণীয় উল্লেখ করে তিনি উন্নয়ন সহযোগীদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় বিনিয়োগ ও ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
এমএইচএম/এসআর/এমএস