আনন্দঘন পরিবেশে হবে প্রাথমিকের পাঠদান
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদানের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
জানা গেছে, প্রতিটি ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম পাবে। এ সময়ে তারা খেলার ছলে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীমূলক কাজে নিয়োজিত থাকবে। ইতোমধ্যে দেশের তিন জেলায় চারটি বিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম আনন্দপূর্ণ করার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মডেল হিসেবে মাগুরা জেলার হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িগ্রামে কুড়িগ্রাম ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নেত্রকোনায় ৩৬নং বালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুনভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ও পাঠাদান কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শরীরচর্চা ও ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হয়ে থাকে। কোথাও ৩৫ মিনিট আবার কোথাও ৪৫ মিনিট করে বিষয় ভিত্তিক ক্লাস করানো হয়ে থাকে। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের স্কুল ছুটি দেয়া হয়।
দেখা গেছে, মডেল এ চার বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শরীরচর্চা শেষে ১০টায় ক্লাস শুরু হবে। মাঝে ৩০ মিনিট খেলার জন্য বিশ্রাম দেয়া হবে। এরপর পাঠদানের জন্য প্রতিটি বিষয়ের জন্য ক্লাস সময় ৪৫ মিনিট করে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম পাবে। সে সময়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে নিয়োজিত করা হবে। শিক্ষার্থীদের পচ্ছন্দ অনুযায়ী খেলার ছলে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা হবে। বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ক্লাস শেষে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে একঘেয়েমি দূর করতে ক্লাসের সময় ও খেলার ছলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। মডেল হিসেবে চার বিদ্যালয়ে নতুন রুটিন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরবর্তী দুই মাস মনিটরিং করা হবে। এতে সফলতা আসলে যেখানে একটি শিফটে বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে সেখানে নতুন রুটিন অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। এভাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ৬৫ হাজার ৫৯০ সরকারি বিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।
সচিব বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আনন্দপূর্ণ করতে আমরা এমন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদানের সুযোগ পাবে। ক্লাসের জন্য নির্ধারিত ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট বিশ্রাম পাবে। এতে করে শিক্ষকরা পরবর্তী ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরাও এ সময়টা খেলার ছলে নতুন জ্ঞানার্জন করতে পারবে। এ জন্য বিদ্যালয়গুলোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে বলেও জানা তিনি।
এমএইচএম/এএইচ/এমকেএইচ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন