আমরণ অনশনে ৩৫ শিক্ষক অসুস্থ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পরও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৭ দিন ধরে আমরণ অনশনে। এতে ৩৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন অনশনকারীরা।
জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৬ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত টানা ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘট করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এর মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া মানা না হলে ২৯ জুন তারা প্রতীকী অনশন করেন। তাতেও কাজ না হলে ৩০ জুন থেকে অনশন শুরু করেন এই শিক্ষকরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ৩ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে।
মঙ্গলবারও দেখা যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের পাশের রাস্তার ফুটপাতে তারা এই আমরণ অনশন করছেন।
তারা বলছেন, ২০১২ সালের ২৭ মের আগে অনুমোতির জন্য আবেদন করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের এই একটিই দাবি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশনেই থাকবেন।
বর্ষাকাল হওয়ায় কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলছেন, তাদের রোদে পুড়তে হচ্ছে, আবার বৃষ্টিতেও ভিজতে হচ্ছে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে উপরে পলিথিন দিলেও কখনও কখনও শেষ রক্ষা হয় না।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই আমরণ অনশন করছেন।
সংগঠনটির মহাসচিব কামাল হোসেন শুক্রবার বলেন, ‘২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ৯১৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় সরকার। সিদ্ধান্ত হয়, তিন ধাপে বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়গুলোর সমপর্যায়ের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ওই সময় কিছু কর্মকর্তার কর্মস্থলে না থাকা এবং কিছু কর্মকর্তার অবহেলার কারণে তৃতীয় ধাপ থেকে কিছু বেসরকারি বিদ্যালয় বাদ পড়ে।’
বাদ পড়া এসব বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
জেডএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ পদ বাড়িয়ে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবিতে রাতভর প্রার্থীদের অবস্থান
- ২ ক্লাস শুরুর তিনমাস পর বাজারে আসছে একাদশের ৫ বই
- ৩ ভর্তিতে লটারির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, নেপথ্যে কী?
- ৪ এডব্লিউই প্রোগ্রাম থেকে স্নাতক হলেন ৯০ উদীয়মান নারী উদ্যোক্তা
- ৫ সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবসম্মত নয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা