ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

তিতুমীরের ৫০ বছর পূর্তি, উৎসব চলবে ৪ মাস ধরে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৯

ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। দেশের অন্যতম প্রাচীন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুবর্ণজয়ন্তী চার মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে। এর সঙ্গে উদযাপন করা হবে স্বাধীন বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর এবং বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিতুমীর কলেজের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও কলেজের ৫০ বছর উদযাপন পর্যদের আহ্বায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

আরও পড়ুন>> সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাবির বৈষম্য!

titumir

টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই , সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করা হবে সরকারি তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। এ ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করতে চাই। তাই, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০২০ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ চার মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই। এ উপলক্ষে titumir.org নামক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিতুমীর কলেজের সাবেক যে কোনো শিক্ষার্থী নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই আমরা পুনর্মিলনের আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনীতে সুবর্ণজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করার বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, শিক্ষাবান্ধব রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান এ বিষয়ে আমাদের আমন্ত্রণে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করবেন।

আরও পড়ুন>> ‘বেলা তুমি বিয়ে করে ফেলো, আমি সেশনজটে আটকে গেছি’

titumir

কলেজের ইতিহাস বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালে রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জিন্নাহ কলেজ’ নামে। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখাকে স্থানান্তর করেন এবং নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও - টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘােষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। পরে আমরা সবাই মিলে বিকল্প একটি নাম চিন্তা করতে থাকি। একইদিনে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী মহান নেতা তিতুমীরের নামকরণ নিশ্চিত করা হয়। ওইদিন রাতেই তিতুমীর কলেজ নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয়, সেদিন থেকেই তিতুমীর কলেজের ইতিহাস শুরু।

কলেজটির সাবেক এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৩০০। বর্তমানে ১২টি বিদ্যালয় সমান মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিতুমীর কলেজসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়।

এমইউএইচ/জেডএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন