জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সারাদেশে বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। বুধবার (১৯ জুন) তাদের চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। গত রোববার থেকে ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন অবস্থানরত শিক্ষকরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা জানান, সরকারি হয়নি এমন চার হাজার ১৫৯টি স্কুল রয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে প্রকৃত তথ্য না দেয়ায় এসব স্কুল সরকারি হয়নি। সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার সময় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করায় তারা বেতন-ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তারপরও এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে বলে দাবি করেন অবস্থান কর্মসূমিতে থাকা শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা আরও জানান, তাদের অনেকেরই চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষকের অন্যত্র চাকরির আবেদনের সুযোগ নেই। তাই বাদপড়া চার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষকদের দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
এদিকে গত ১৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোনো প্রস্তাব আপাতত বিবেচনা করার সুযোগ নেই। তাই জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া শিক্ষকদের এ আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনর রশিদ খোকন, মহাসচিব মো. কামাল হোসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর ইকবালসহ প্রমুখ।
এমএইচএম/বিএ/এমকেএইচ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ২ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৩ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৪ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা
- ৫ ২৫ মার্চের আগে বই ছাপা সম্ভব নয় জানিয়ে চিঠি, পরক্ষণে চাইলেন ক্ষমা