ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ৩০ মে ২০১৯

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

পরীক্ষায় তাকমীল (এমএ) ব্যতীত ৬টি স্তরে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ জন অংশগ্রহণ করেন। স্টার মার্ক পেয়েছে ২১ হাজার ১৭৫ জন ও প্রথম বিভাগে পাস করেছে ২৬ হাজার ১৭৫ জন ছাত্রছাত্রী। মোট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা- ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ জন।

বৃহস্পতিবার বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ পরীক্ষার ফলাফলের ফাইল বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলীর কাছে হস্তান্তরের পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

এ সময় আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, কওমি মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে সফলতার নজির স্থাপন করেছে। এরাই যোগ্য আলেম হয়ে জাতির সামনে ইসলামের বাণী তুলে ধরবেন।

বেফাকের ফল প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ও মুফতি নুরুল আমীন, মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, অর্থ সচিব মনিরুজ্জামান, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আমিনুল হক, মাওলানা আব্দুর রশিদ ও মুহা. রফিকুল হকসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্টাফ ও বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত মুহতামিম, আসাদিযা ও দালেকুল আলমরা। পরীক্ষার ফলাফলের সব তথ্য বেফাকের নিজস্ব ওয়েব সাইট www.wifaqresult.com তে পাওয়া যাচ্ছে।

স্তর ভিত্তিক পাসের হার

ফজিলত (স্নাতক) বালক ৮৬.৯১% বালিকা ৮১.৭২%। সানাবিয়া ‘উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) বালক ৭২.৭৪% এবং বালিকা ৫৬.২৫%। মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক) বালক ৮৯.৭৭% বালিকা ৭৫.১৭%। ইবতেদায়ি (প্রাইমারি) বালক ৭৫.৬৬% বালিকা ৬৭.০৫%। এ ছাড়া তাহফীজুল কুরআন ও ‘ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত বিভাগের পাসের হার যথাক্রমে ৮৬.৫৫% এবং ৮৮.০০%।

ফজিলত (স্নাতক) মারহালার বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার মাদানীনগর মাদরাসার মুহা. আব্দুল্লাহ; প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৬, ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহা. ইকরামুল হাসান আহমদ; প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৪, ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মাহবুবুল আলম; প্রাপ্ত নম্বর ৭৬১। বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসা ফাতেমাতুজ্জাহরা (রা.) মুহাম্মদপুরের নাঈমা হুসাইন; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩, ২য় স্থান অধিকার করেছে কিশোরগঞ্জ জেলার আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) কওমি মহিলা মাদরাসার স্বল্প মারিয়া এর মাইমুনা; প্রাপ্ত নম্বর ৬৬০, ৩য় স্থান অধিকার করেছে বরিশাল জেলার চরমোনাই জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ মহিলা শাখার তাকওয়া তাজুন্নুর, প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৫।

সানাবিয়া ‘উলয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মদপুরের মুহা. মাহবুবুল আলম; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮, ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দু’জন তারা হলেন মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ দক্ষিণকান্দি শিবচরের ইয়াকুব আলী; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪ এবং একই মাদরাসার মুহা. আব্দুল আযীয, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪, ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মারকাজুল ইলমি ওয়াদ দাওয়াহ সাভারের শাকিল ইজতিহাদ সিফাদ; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩, বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা উত্তরার মোবাশ্বিরা আক্তার; প্রাপ্ত নম্বর ৬৬১, ২য় স্থান অধিকার করেছেন যৌথভাবে দু’জন তারা হলেন ময়মনসিংহ জেলার মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা গলগন্ডা এর সাদিয়া মারজান, প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৯ এবং ঢাকা জেলার হযরত ফাতেমাতুয যাহরা মহিলা মাদরাসা উত্তরার মোসা. উম্মে হানি, প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৯, ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসাতুল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ মহিলা মাদরাসা মোহাম্মদপুরের আয়েশা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৭।

মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক) বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দু’জন। তারা হলেন- ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর মুহা. সাজ্জাদ হুসাইন সা’আদ; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ এবং কুমিল্লা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়ার মো. খালেদ হাছান; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪, ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে তিনজন তারা হলেন ফরিদপুর জেলার আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মদীনাতুল উলুম নগরকান্দার মুহাম্মদুল্লাহ; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩, নারায়ণগঞ্জ জেলার কাসেমুল উলুম রূপসী চরপাড়ার মুহা. শাহ জালাল; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩ এবং মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহের আ. রহমান তামীম, প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩, ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দু’জন নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া রব্বানিয়া জালকুড়ি মাদরাসার রবীউল ইসলাম; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২ এবং জামি‘আ আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগের মুহা. আরাফাত হোসাইন; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা উত্তরার আফিফা রহমান মারিয়া; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০, ২য় স্থান অধিকার করেছে কিশোরগঞ্জ জেলার জামিয়াতুল আযহার লিল বানাত তারাপাশার মাহমুদা আক্তার তুলফা; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭, ৩য় স্থান অধিকার করেছে কুমিল্লা জেলার ইকরা মহিলা মাদরাসা উত্তর লাকসামের নাছরিন শিফা; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩।

ইবতেদায়ি (প্রাইমারি) বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া ভূঁইয়াপাড়া মাদরাসার মুহাম্মদ জুনাইদ আল হাসান; প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫, ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে চারজন তারা হলেন- জামিয়া রব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ির মুহাম্মদ তামীম; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯, জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহা. বেলাল হুসাইন; প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯, জামিয়া হাকীমুল উম্মত দক্ষিণ কেরানীগগঞ্জের মুহা. মাহফুজুর রহমান প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯ এবং কুষ্টিয়া জেলার আশরাফুল উলুম মঙ্গলবাড়ীয়া মাদরাসার মুহা. তানভীর আব্দুল্লাহ প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯, ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে তিনজন তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার জাামিয়া রব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ির মুহা. কেফায়াতুল্লাহ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮, ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম পল্লবী মাদরাসার মুহা. আব্দুল্লাহ আল মারুফ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮ এবং জামিয়া হাকীমুল উম্মত দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ মাদরাসার মুহা. আব্দুল্লাহিল কাফী প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮। বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে জামালপুর জেলার মিফতাহুল জান্নাত (মরিয়ম) মহিলা মাদরাসা শাহপুরের মোছা. সাইমুম জান্নাত সাদিয়া, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫, ২য় স্থান অধিকার করেছে ফরিদপুর জেলার তানযীমুল উলুম কওমি মহিলা মাদরাসা বোয়ালমারীর উম্মে হাবীবা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৮, ৩য় স্থান অধিকার করেছে মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত গলগন্ডার ফারিহা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭।

এ ছাড়া তাহফীজুল কুরআনে ৬৬টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে তিনজন করে) ও ‘ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত বিভাগে ৩টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩ জন করে) পৃথক পৃথক ভাবে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অনেকেই।

এমএইচএম/এনডিএস/পিআর

আরও পড়ুন