একাদশে ভর্তির আবেদন করেনি আড়াই লাখ শিক্ষার্থী
এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেননি প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় দফায় এসব শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। তবে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এই ধাপে মোট ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থী অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন বলে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন-আর-রশিদ জানিয়েছেন।
এ বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এরমধ্যে কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করেছেন ৯১ হাজার ২৯৮ জন। অর্থাৎ কারিগরি বাদে সব বোর্ড থেকে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮৬৭ জন। আর কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন।
এই হিসেবে এবার মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েও মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৪২ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করেননি। যা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর এক-সপ্তাংশ।
এ বিষয়ে কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, যারা আবেদন করেননি তাদের অনেকে পরবর্তী ধাপগুলোতে আবেদন করতে পারে, কেউ কেউ ঝরে পড়বে, কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়তে যেতে পারে।
তিনি জানান, এবার কলেজে ভর্তি হতে ১০ লাখ ৫২ হাজার ১৮৪ জন অনলাইন এবং ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২২২ জন এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করেছেন।
২৪ মে থেকে ২৬ মের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ৩ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে ৫ জুন।
১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে।
এরপর ১৯ থেকে ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২৪ জুন তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে ২১ জুন দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২৫ জুন তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে।
এবার ঢাকা বোর্ডের ৩ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৫ জন, রাজশাহীর ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮২ জন, চট্টগ্রামের ১ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন, কুমিল্লার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৫ জন, যশোরের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৪ জন, বরিশালের ৭৭ হাজার ৪২০ জন, সিলেটের ৮০ হাজার ১৬২ জন, দিনাজপুরের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৮ জন, ময়মনসিংহের ৯৬ হাজার ৫৪৩ জন এবং মাদরাসা বোর্ডের ১ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন বলে জানান ঢাকা বোর্ডের এই কলেজ পরিদর্শক।
এবারও সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
অধ্যাপক হারুন জানান, ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে অনলাইনে ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯৫টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫১টি আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা।
এমএইচএম/এমএমজেড/এমকেএইচ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন