ঢাকা বোর্ডের সেরা ১২৭ কলেজের তালিকা প্রকাশ
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১২ মে (রোববার) থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদনের সহায়তায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সেরা ১২৭টি কলেজের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৮২টি কলেজ ‘এ’ ক্যাটাগরির। এগুলো বোর্ডের শীর্ষ কলেজ। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৪৫টি কলেজ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ জানান, সাধারণত ঢাকা মহানগরের কলেজে ভর্তিতে বেশি সঙ্কট তৈরি হয়। মেধাবীরা নির্দিষ্ট কিছু কলেজে ভর্তির আবেদন করে। এতে অনেকেই ভর্তি বঞ্চিত হয়। কিন্তু এসব কলেজের বাইরেও অনেক ভালো কলেজ আছে তা বোঝাতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ নামে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ন্যূনতম ৬শ’ এবং পাসের হার ন্যূনতম ৭০ শতাংশ, সেসব প্রতিষ্ঠান ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত। যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৬শ’ এবং পাসের হার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং অবশিষ্ট কলেজ ‘সি’ ক্যাটাগরিভুক্ত।
সারাদেশে ৮ সহস্রাধিক কলেজ ও মাদরাসায় ভর্তিযোগ্য আসন সংখ্যা রয়েছে ২৯ লাখ। এর মধ্যে মাদরাসায় আসন সংখ্যা ৮ লাখ। ঢাকা বোর্ডে আসন রয়েছে ৬ লাখ। এবারও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদাভাবে ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, এবার মাদরাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছে। সেই হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ আসন বেশি আছে। এগুলো শূন্য থাকবে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের অনেক কলেজ শিক্ষার্থী পাবে না।
এবার যা নতুন
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হবে ১২ মে থেকে। পঞ্চমবারের মতো এবার একাদশে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন নিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শিক্ষার্থীরা যাতে কলেজের কাছে জিম্মি হয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে এবার আবেদনে নতুনত্ব আনা হয়েছে। কেবলমাত্র বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) দিয়েই আবেদন করা যাবে। একটি নম্বরের বিপরীতে একাধিক আবেদন করা যাবে না। মূলত ভুয়া আবেদন ও নিশ্চায়ন বন্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে বুঝে শুনে এবং পছন্দক্রমে কলেজ পছন্দ করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
তারা বলেন, ভর্তিতে শিক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ের নম্বর বাদ দিয়ে মেধাক্রম তৈরি হয়। সফটওয়্যারও সেভাবে তৈরি। শিক্ষার্থীরা যখন অনলাইনে একটি কলেজ পছন্দ করবে সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়্যার তার মেধাক্রম জানিয়ে দেবে। পাশাপাশি কলেজে বা পছন্দের বিভাগে আসন সংখ্যাও ওয়েবসাইটে থাকবে। আবেদনের সময়ে দুই দিকে নজর দিলে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরে বাদ পড়ার কথা নয়।
আবেদনকারীদের বাছাইয়ে আরও কয়েকটি দিকে নজর দিয়ে থাকে বোর্ডগুলো। তা হচ্ছে- যদি একই সিরিয়ালের আসনের বিপরীতে সমান নম্বরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থী পাওয়া যায় তাহলে গণিত, ইংরেজি, বাংলা বিষয়ে কে বেশি পেয়েছে তা দেখা হয়। এতেও সুরাহা না হলে বিভাগ ভিত্তিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর দেখা হয়। বিষয়টি ভর্তি নীতিমালার ৩ নম্বর ধারায় রয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর কলেজ পছন্দ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীর মেধাক্রম দেখানো হবে। এতে কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাব্যতা সহজেই নিরূপণ করা যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ভর্তিতে সঙ্কট সাধারণ চিত্র নয়। গ্রাম-গঞ্জের কলেজে আবেদনকারীর তুলনায় আসন সংখ্যা বেশিই থাকে। এ সমস্যা কেবল বড় কলেজগুলোর ক্ষেত্রে।
তিনি আরও বলেন, সমস্যা এড়াতে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি কাজ করতে হবে। এগুলো হচ্ছে অবশ্যই ১০টি কলেজ পছন্দ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মেধাক্রম আর ১০টি কলেজের আসন সংখ্যা হিসাবে নিতে হবে। না হলে আবেদনের প্রথম ধাপে সুযোগ মিলবে না।
এমএইচএম/আরএস/এমকেএইচ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন