ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

মেডিকেলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা!

প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীরা এ বছর থেকে অনলাইনে আবেদন জমা দিতে পারবেন। এর আগে তাদের জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার সুযোগ ছিল না।

সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদনের দিনক্ষণ নির্ধারণী এক বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অনলাইনে জমা দেয়ার পক্ষে সুপারিশ করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইয়ুবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে বাংলাদেশের দূতাবাসে আবেদনপত্র জমা দিতে আসার ভোগান্তি দূর করতে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণের এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুমোদন দেয়া না দেয়ার ওপর নির্ভর করবে। তিনি অনুমোদন দিলে চলতি বছর থেকে প্রথমবারের মতো অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির জন্য বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনপত্র গ্রহণ চলতি সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত দেশি দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।  

সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষদিন আগামী ৫ নভেম্বর। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানার শেষ দিন ২০ নভেম্বর।

অপরদিকে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২০ নভেম্বর। সরকারি কলেজের ন্যায় বেসরকারিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানার শেষ দিন ৫ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিট্রার ডা. জেড এইচ বসুনিয়া এ সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,  চলতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির কোটা শতকরা ৪০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে বরাবরের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীদের কোটা পূরণ না হলে দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ আগস্টের সভার প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বিপিএমসিএর তথ্যানুসারে গত বছর (২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে) বেসরকারি ৫৫টি মেডিকেল কলেজে মোট ৪ হাজার ৯৭৫টি আসনের মধ্যে বিদেশি কোটায় ৯৫৬টি আসন শূন্য ছিল।

বিপিএমসিএ’র মহাসচিব শাহ মো. সেলিম সম্প্রতি জাগো নিউজকে জানান, দূতাবাসে আবেদনপত্র জমা দেয়ার নিয়ম থাকায় অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী যারা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে চান দূরদূরান্তে বসবাস করায় তাদের অনেকে আবেদন করতে চান না। অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পেলে আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/এসএইচএস/পিআর