মনিপুর স্কুলের অধ্যক্ষের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
রাজধানীর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করা শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের অনিয়ম তদন্তে, চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ফরহাদ হোসেনের নানা অনিয়মসহ প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অনিময়ও তদন্ত করবে এই কমিটি।
মঙ্গলবার গঠিত এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে মাউশির বিশেষ শাখার উপ-পরিচালক সৈয়দ মইনুল হাসানকে। অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারি পরিচালক সবুজ আলম, খালিদ সাইফুল্লাহ, তানভীর মোশারফ খান।
ফরহাদ হোসেন নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে ২০ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক তদন্তে প্রমাণ মেলে।
দুদক বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু অনুমোদনপত্রে কিংবা পরবর্তীতে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনকে অধ্যক্ষ হিসাবে অখ্যায়িত/অবহিত/সম্বোধন/নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। ফরহাদ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেতন-ভাতা গ্রহণ করে আসছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য ছিলেন না তিনি।
অথচ ফরহাদ হোসেন অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ম্যানেজিং কমিটি বরাবর নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যটি উত্থাপন না করে স্বঘোষিত অধ্যক্ষ পদ ব্যবহারের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজটির তহবিল থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি টাকা উত্তোলন করেন।
দুদক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান। চিঠির আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাউশির পরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
এমএইচএম/এমএসএইচ/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন চাকরি ছাড়া কিছুই ভাবতে দিচ্ছে না
- ২ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ৪ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৫ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা