ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

কলেজ পর্যায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দ্বার খুলে গেছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বুধবার (১৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিগত ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশের সব পাবিলক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে আমরা কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না।

সরকারি-বেসরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ১৪ মার্চ থেকে সারাদেশে ২২ হাজার ৯৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় স্কুল কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের আট বিভাগ ও আটটি মহানগরের আওতাধীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় (ষষ্ঠ-দশম শ্রেণি) কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এবার ১৬ হাজার ২৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং ছয় হাজার ৭১৬ দাখিল মাদসার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে এক লাখ ২৯ হাজার ৯৬০টি পদের জন্য দুই লাখ ৩১ হাজার ১২৬ এবং মাদরাসা পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৭২৮টি পদের জন্য ৯৩ হাজার ৭১০ শিক্ষার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিবে। ২৪ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে কেবলমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ-দশম শ্রেণি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে অন্য কোনো পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (যেমন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা) এ নির্বাচনের আওতায় বলে বিবেচিত হবে না।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে আট সদস্যের স্টুডেন্টস কেবিনেট। ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির যে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। এরমধ্যে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে এবং যে কোনো তিন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দিতে পারবে। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হবে।

নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোনো রকম পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট ব্যবহার ও দেয়াল লিখন করা যাবে না। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট ব্যবহার করতে পারবে। নির্বাচনী প্রচার প্রতিষ্ঠানের সীমানা বা চত্বরের বাইরে করা যাবে না।

স্টুডেন্টস কেবিনেটের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথম সভায় একজন প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের দায়িত্ব বণ্টন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণি থেকে দুজন করে সহযোগী সদস্য মনোনীত করতে হবে, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সহায়তা করবে। তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয়, আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষ রোপণ ও বাগান তৈরি ইত্যাদি দিবস ও অনুষ্ঠান উদযাপন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি এ আট প্রধান দায়িত্বে আটজন নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেন, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহা পরিচালক এবং ঢাকা ও মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএম/এএইচ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন