স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি করা হয়। তবে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সরকারের সকল কাজে অংশগ্রহণ করে ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকরা। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান কিন্তু ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পান না।’
তারা বলেন, ‘তবুও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা। ১৫১৯টি মাদরাসা শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পান। আর বাকি প্রায় ৮ হাজার ৫০০টি মাদরাসার শিক্ষকরা প্রায় ৩৪ বছর ধরে বেতন-ভাতা হতে বঞ্চিত।
এ সময় ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রায়েছে-প্রাইমারির মতো মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ, কোড বিন মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বর এ অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রাইমারির মতো প্রতিটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার অফিস সহায়ক নিয়োগ প্রদান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিং-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ কাজী ফয়েজুর রহমান, মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, শিক্ষক নেতা তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এএস/এমআরএম/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ২ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৩ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৪ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা
- ৫ ২৫ মার্চের আগে বই ছাপা সম্ভব নয় জানিয়ে চিঠি, পরক্ষণে চাইলেন ক্ষমা