ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

এনটিআরসিএ’র মনোনীত হলেও যোগদান করেনি ৫ হাজার প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশের পরও প্রায় ৫ হাজার নিবন্ধিত প্রার্থী (শিক্ষক পদে) নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেনি। এসব পদ পূরণ করতে এখন দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নির্বাচিত প্রার্থীদের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তার দু’দিন পর থেকে যোগদান কার্যক্রম শুরু হয়, যা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে।

» পড়ুন: এনটিআরসিএ- বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের আপডেট খবর

এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তার জানান, শিক্ষক নিবন্ধিত প্রার্থীরা মনোনীত হলেও দূরে হওয়ায় অনেকে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি। অনেকে আবার যোগদান করতে গেলেও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ কারণে এনটিআরসিএ’র সুপারিশ করা ৪০ হাজার পদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়ে গেছে।

তারা জানান, বর্তমানে এসব পদে নিয়োগ দিতে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় প্রার্থীদের মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের যোগদানের জন্য নতুন করে এক মাস সময় দেয়া হবে। তবে যদি কেউ যোগদান করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তবে সেখানে কোন নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ করতে দেয়া হয়নি তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৪৮ জন কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলেও মামলার কারণে গত দুই বছর তা আটকে ছিল। গত বছর ডিসেম্বরে আদালতের রায় ঘোষণা দিলে এনটিআরসিএ আবারও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে।ইতোমধ্যে প্রায় ৭০০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তবে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ায় নতুন করে আর যোগদান করেনি। ফলে অবশিষ্ট পদগুলোতেও দ্বিতীয় মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিআরসিএ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম ধাপে যারা যোগদান করেননি তাদের পরিবর্তে সেসব স্থানে দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার পদে, বেশ কিছু পদেও -এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এমএইচএম/আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন