বিদ্যালয়ে কর্মমুখী শিক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক বিশেষায়িত কোর্স শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য প্রথম পর্যায়ে দেশের ৬৪০টি স্কুলে দুটি করে কারিগরি ট্রেড কোর্স চালু করা হবে। সেখানে ১ হাজার ২৮০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সারাদেশের ৬৪০টি স্কুলে এক হাজার ২৮০টি কারিগরি বিষয়ে দুইজন করে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া হবে। সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)-এর আওতায় এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী সপ্তাহে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা পিছিয়ে গেছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির উপস্থিতিতে একটি সভা করে নিয়োগের চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করা হবে।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দুটি বিষয়ে বিশেষায়িত (কারিগরি) শিক্ষা দেয়া হবে। এজন্য প্রতিটি স্কুলে চাহিদা সম্পন্ন দুটি ট্রেড কোর্স চালু করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দুইজন করে ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া হবে। তারা নবম-দশম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পছন্দের কোর্সের ওপর প্রশিক্ষণ দেবেন।
কর্মকর্তারা জানান, একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পাশ করে শুধু একটি সর্টিফিকেট নিয়ে চলে যায়। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে ঝড়ে গেলে এই সার্টিফিকেট তাদের তেমন কোনো কাজে আসে না। এসএসসি পাশ করা একজন শিক্ষার্থী যাতে সাধারণ পড়ালেখার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জ্ঞান লাভ করে সেজন্য পাইলটিং হিসেবে ৬৪০টি বিদ্যালয়ে দুটি করে কোর্স চালু করা হবে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা মহানগরসহ পার্শবর্তী বিভিন্ন জেলায় কারিগরি দুটি কোর্সে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশা পেলেই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এমএইচএম/এমবিআর/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন