ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

অভিভাবক ছাড়াই চলছে কারিগরি শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে সরকার নানামুখী কর্মযজ্ঞ হাতে নিলেও নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ছাড়াই চলছে এ শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর (ডিটিই) মহাপরিচালক ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (ডিটিই) চেয়ারম্যান ছাড়াই চলছে সকল কার্যক্রম। এতে করে অভিভাবকহীন বিশেষায়িত এই শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ডিটিই থেকেই কারিগরি শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিগত আট বছর ধরে নীতিনির্ধারণী এ প্রতিষ্ঠানের স্থায়ীভাবে উপযুক্ত প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো সমস্যার উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে কারিগরি শিক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পদ গত ২০ দিন ধরে খালি রয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিটিইবি’র সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান অবসরে যান। এরপর এখন পর্যন্ত ওই পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন বোর্ডের সচিব। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কারিগরি শিক্ষাকে বর্তমান সরকার ‘অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার’ ঘোষণা দিলেও সেই হিসাবে উপযুক্ত ব্যক্তি ছাড়াই চলছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রতিষ্ঠান। রহস্যজনক কারণে শিক্ষার সাবেক নীতিনির্ধারকেরা কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পদায়ন করেনি। এরমধ্যে কেবল কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরেই ২০০৯ সাল থেকে পদায়ন করা পাঁচজন মহাপরিচালকের মধ্যে চারজন কারিগরি খাত সংশ্লিষ্ট নন।

অবশ্য এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ১৯৯৮ সালের পর এখন পর্যন্ত দুই দশকে ১৩ জন মহাপরিচালকের পদে আসলেও তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন পূর্ণকালীন ছিলেন। বাকিদের কেউ অতিরিক্ত দায়িত্ব আবার কেউ চলতি দায়িত্ব পালন করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কারিগরি খাতের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা এই খাতের সমস্যা-সম্ভাবনা সম্পর্কে ভালো জানেন। তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারসহ বাইরে থেকে আসা কর্মকর্তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন না। এ কারণে এই খাতের ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

নীতিনির্ধারণী এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘মহাপরিচালক ও চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত দেবেন। আমরা শুধু যোগ্য প্রার্থীদের সারসংক্ষেপ উল্লেখ করে একটি প্রস্তাব পাঠাবো। এটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিটিইবির চেয়ারম্যানের পদে নিয়োগ পেতে অনেকেই চেষ্টা-তদবির করছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পাঁচজনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকায় আছেন বিটিইবির পরিচালক (কারিকুলাম) ড. নুরুল ইসলাম, পরিচালক (আইসিটি) মীর মোশররফ হোসেন, কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের (টিটিটিসি) অধ্যক্ষ অধ্যাপক রমজান আলি, বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহাদত হোসেন এবং বিটিইবির পরিদর্শক প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস সরদার। তালিকা থেকে একজনকে চূড়ান্ত করতে ফাইল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। ফাইলটি বর্তমানে মন্ত্রীর দফতরে আছে বলে জানা গেছে।

তবে কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

এমএইচএম/এমবিআর/আরআইপি

আরও পড়ুন