ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

‘কোটা’য় আটকে গেল ৫ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে কোটার কারণে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ আটকে গেল। এসব পদ পূরণে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মামলার কারণে গত দুই বছর বেসরকারি স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ ছিল। এরপর গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ হাজার ১৮৬টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩৯ হাজার ৫৩৫টি পদের চাহিদা পাওয়া যায়।

জানা গেছে, এই পদগুলোতে নিয়োগের জন্য নিবন্ধন সনদধারীদের কাছ থেকে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন চাওয়া হয়। ৩৯ হাজার ৫৩৫টি পদের বিপরীতে ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৬টি আবেদন পাওয়া যায়।

এরপর গত ২৪ জানুয়ারি মাসে মেধাক্রম অনুযায়ী ১৫ হাজার ১৫৭টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৩১৭ জন শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। এর দুদিন পর থেকে যোগদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশে ৩৯ হাজার ৫৩৫টি শূন্য পদে ৩৪ হাজার ৫৩৫ জনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হয়। নিয়োগ জটিলতার কারণে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ আটকে গেছে।

এর কারণ হিসেবে বলেন, প্রক্রিয়াজনিত কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের কোথাও একটি আবেদন পড়েনি, আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীরা আবেদন করলেও নারী কোটায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অন্য প্রতিষ্ঠানে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এসব কারণে দেশের সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার পদ শূন্য রয়ে গেছে।

কর্মকর্তারা জানান, এসব পদে পূরণে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে আবেদন চাওয়া হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম অনুসারে তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে বলা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, নিয়োগ জটিলতায় নয়, কোটার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে আবেদন পড়লেও সেখানে কাউকে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়নি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাপ্ত চাহিদার মধ্যে বেশ কিছু পদ খালি রয়েছে। এসব পদে নিয়োগ দিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এমএইচএম/জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন