কোন সেটে পরীক্ষা জানা যাবে ২৫ মিনিট আগে
আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের মোড়ক খুলতে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্রসচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ও স্বাক্ষরে নির্ধারিত সেট প্রশ্নপত্রের মোড়ক খুলতে হবে। আর কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা জানানো হবে পরীক্ষা শুরুর মাত্র ২৫ মিনিট আগে। সোমবার চারটি পরিপত্রের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে নতুন ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সোমবার পরিপত্র জারি করা হলেও সিদ্ধান্তগুলো আগেই নেয়া হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রেক্ষাপটে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নেয়া ও মোড়ক খোলার বিষয়ে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে এমসিকিউসহ রচনামূলক বা সৃজনশীল বিষয়ের সব সেট প্রশ্নই পরীক্ষার কেন্দ্রে নিতে হবে। আর কোন সেটে (সেটকোড) পরীক্ষা হবে, তা পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেটে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
অপর একটি পরিপত্রে বলা হয়, প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। তারা ট্রেজারি বা থানা থেকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধিসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ পাহারায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়া প্রশ্ন বের করা বা বহন করা যাবে না।
আরেকটি পরিপত্রে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজ আসনে বসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এরপর কেন্দ্রে গেলে রেজিস্টারে তাদের নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরি হওয়ার কারণ উল্লেখ করতে হবে। কেন্দ্রসচিব দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে জানাবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা আরেকটি পরিপত্রে বলা হয়, কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা যাবে না ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এমএইচএম/এমএমজেড/পিআর