১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ১০ লাখ আবেদন
১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রায় ১০ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর এ আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যে প্রিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে জানা গেছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ নভেম্বর ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মামলাজনিত কারণে প্রায় এক বছর পর এ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এরপর ৫ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রায় ১০ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে ছয় লাখ প্রার্থী অনলাইন আবেদনের সকল কার্যক্রমে সম্পন্ন ও আবেদন ফি জমা দিয়েছেন। চার লাখ আবেদনকারীর ফি এখনো জমা দেয়া হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফি জমা দিতে হবে। নতুবা আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করায় মেধাবীরা এ পেশায় যুক্ত হতে এগিয়ে আসছেন। এনটিআরসিএর পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মেধা যাচাই করা হবে। আগামী বছরের এপ্রিলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ও স্থান প্রার্থীদের এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস ৪০ বলে গণ্য হবে। পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বর থাকবে। প্রতি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে।
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর হতে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে। প্রিমিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা হবে। উত্তীর্ণদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে। এরপর ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
এমএইচএম/বিএ