এবার মতিঝিল আইডিয়ালের বার্ষিক ম্যাগাজিন নিয়ে বিতর্ক
নম্বরপত্র ঘষামাজা করে ভর্তি জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পর এবার আরেক বিতর্ক উঠেছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে।
দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ম্যাগাজিনে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ, ইতিহাস বিকৃতি ও কুরুচিপূর্ণ লেখার জন্য এর প্রকাশক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ম্যাগাজিন পুনঃপ্রকাশসহ যাবতীয় ব্যয় বহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে অভিযুক্তদের। গত বুধবার প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানতে চাইলে গভর্নিং বডির সভাপতি ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকী ‘প্রত্যাশা’তে কিছু আপত্তিকর লেখা ও তথ্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এজন্য ম্যাগাজিনের সম্পাদক মুহাম্মদ রুকুন-উজ-জামান ও কুরুচিপূর্ণ লেখার জন্য দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালাম খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত অর্থে ম্যাগাজিন পুনঃপ্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘প্রত্যাশা’কে শিক্ষার্থীদের মনন বিকাশের অঙ্গীকার হিসেবে দাবি করা হলেও শিক্ষকদের লেখায় তার প্রমাণ মেলেনি। বিশেষ করে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আ. ছালাম খানের লেখা ‘আতা কাহিনি’ কুরুচিপূর্ণ। অশ্লীলভাবে নর-নারীর প্রেমের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এ ছাড়া নবম শ্রেণির ছাত্রীর লেখা ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান’ প্রবন্ধে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে পুত্রসন্তান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিতে বিতর্কিত তথ্য আকারে জমিদাতা হিসেবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভ্রান্তিকর এসব তথ্য প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের এ ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াইশ টাকা করে নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাতাশ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এ খাতে নেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ টাকার বেশি।
এমএইচএম/এএইচ/আরআইপি