‘জাতীয় শিক্ষা দিবস’ ঘোষণার দাবি
মহান শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকরা। সেইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য-বঞ্চনার অবসান, পরীক্ষা ব্যবস্থার যুগোপযোগী সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সোমবার ‘শিক্ষা দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট ও ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের আয়োজনে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়েছে।
সভায় শিক্ষকরা এক দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কার, অর্জন এবং অব্যবস্থাপনার দিক তুলে ধরেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে শিক্ষার্থীর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি, লাইব্রেরি-ল্যাবোরেটরি স্থাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় দলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তির পরিবর্তে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও পাঠদানকারী শিক্ষকের কার্যকর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি সভায় জানানো হয়।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের গঠনমূলক পরামর্শ, সহযোগিতাও গ্রহণযোগ্য। কিন্তু শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদানকারী শিক্ষক ব্যতিরেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় বহিরাগত হস্তক্ষেপ কাম্য হতে পারে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নেতৃত্ব সংক্রান্ত ইউনেস্কো প্রস্তাবিত নির্দেশিকা অনুসরণে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য তারা সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. আজিজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আসাদুল হক, মো. মহসিন রেজা, অধ্যক্ষ মো. ফয়েজ হোসেন, অনুপম বড়ুয়া, মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিরাজুন নাহার, আফসানা বেগম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ।
এমএইচএম/জেডএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ইউজিসি ঘেরাও করে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- ২ গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে জরুরি নির্দেশনা
- ৩ শনিবারও বন্ধ থাকবে স্কুল, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই বহাল
- ৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালে ছুটি ৭৬ দিন, তালিকা প্রকাশ
- ৫ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুনে, বার্ষিক নভেম্বরে