জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হচ্ছে ‘র্যাগিং’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র্যাগিং বন্ধে ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভিসি, ডিনস, প্রক্টোরিয়াল টিম, আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে সভা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে র্যাগিংসহ অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনা নিরসনে উপাচার্য মনোনীত প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটি অতিদ্রুত সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করবে।
ইউজিসি অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সভা হয়। সভায় জাবিতে র্যাগিং ও বেআইনি কাজ বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে র্যাগিং ও অন্যান্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি পেয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান তিন সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করেন, যাতে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লাকে প্রধান করা হয়।
জাবিতে র্যাগিংয়ের প্রতিবাদে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ শিক্ষকদের মানববন্ধন
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান একই বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্য এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে আজকের সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ইউসুফ আলী মোল্লার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন। সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও প্রফেসর ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি, ইউজিসির সচিব ড. মো. খালেদ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল মুক্ত চিন্তা এবং জ্ঞানের আধার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সকলকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে উচ্চশিক্ষার অর্জনগুলো ম্লান না হয়ে যায়।
প্রফেসর মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাগিং একটি গুরুতর সমস্যা। জাতীয় এ সমস্যাটির সমাধানে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা সবাই রাগিংয়ের বিরুদ্ধে। জাবি প্রশাসন ক্যাম্পাসে রাগিং এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এমইউএইচ/জেডএ/এমএস