চীনের মেডিকেলে ভর্তিতে সাবধান!
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থী চীনের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে ১ হাজার ৮০০ জনের মতো শিক্ষার্থী চীনের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
এরমধ্যে পড়াশোনা শেষ করে এ পর্যন্ত দেশে ফিরে এসেছেন কমপক্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া বলেন, বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী চীনের মেডিকলে কলেজে পড়াশোনা করতে যাবেন তাদেরকে চোখ-কান খোলা রেখে সাবধানে লেখাপড়া করতে হবে।
বিএমডিসির এই কর্মকর্তা বলেন, মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন অব দি পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার ওয়েবসাইটে (ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রডেন্টস) দেশটির মেডিকেল ইউনিভার্সিটির তালিকা দেয়া আছে। ওই তালিকার বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস/বিডিএস পাশ করলে সেই সার্টিফিকেট বিএমডিসিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
গত ৫ জুলাই বিএমডিসির রেজিস্ট্রার এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশুনার ক্ষেত্রে অব্শ্ই চীন সরকারের তালিকা অনুসরণ করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর ও সুপারভিশন করে। ফলে যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফরম্যান্স খারাপ হয় তাদের নাম সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার আদেশ বতিল করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফার করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে।
তিনি বলেন, অনেক সময় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনেকে জেনে বা না জেনে বাতিল/স্থগিতকৃত মেডিকেলে পড়াশোনা চালিয়ে যান। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা পরে বিপাকে পড়েন।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার জানান, ২০১২ সাল থেকে চীনসহ বিভিন্ন দেশে যারা এমবিবিএস/বিডিএস/সমমানের পড়াশোনা করতে গেছেন এর পরিসংখ্যান তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। গত ৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৮০০ জন মেডিকেলে পড়তে চীনে গেছেন।
চলতি মাসেই এইচএসসির ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অনেকেই নতুন করে ভর্তি হবেন কিংবা এখন ডাক্তারি পড়ছেন। এসব শিক্ষার্থীকে সব সময় চীনের শিক্ষামন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারের তালিকায় রয়েছে নাকি বাতিল/স্থগিত করা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে। বন্ধ/স্থগিত হলে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এমইউ/এমএমজেড/জেআইএম