ভিকারুননিসার মূল ক্যাম্পাসে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন কোটাধারীরা
অবশেষে একাদশ শ্রেণিতে কোটায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাস্পাসে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ জুন) জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী চলতি বছর কলেজের সব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। তৃতীয় তালিকা থেকে কোটার শিক্ষার্থী আলাদাভাবে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের অতিরিক্ত আখ্যা দিয়ে প্রথমে ভর্তি করাতে চায়নি ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষা বোর্ডের চাপে কোটায় মনোনীত ১৩৭ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে অতিরিক্ত ১৩৭ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করে আমাদের বিপাকে ফেলেছে। আমরা বাধ্য হয়ে তাদের ভর্তি করেছি। এসব শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাম্পাসে জায়গা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মূল ক্যাম্পাসে জায়গা না থাকায় তাদের বসুন্ধরা শাখায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলেও শিক্ষার্থীরা সেখানে যেতে চায়নি।
তিনি বলেন, এ নিয়ে শনিবার গভর্নিং বডির সদস্য ও অভিভাকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বসুন্ধরা ভিকারুননিসার কোনো আলাদা শাখা নেই। এটি অতিরিক্ত সেকশন। সেখানে স্কুল-কলেজের পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে। মূল ক্যাম্পাসে চাপ কমাতে আমরা বিষয়গুলো অভিভাবকদের বোঝানের চেষ্টা করেছি। সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের সন্তানকে যেকোনো স্থানে ভর্তি করতে পারবেন বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমিত স্থান ও আসন থাকায় বাড়তি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো সম্ভব হয় না। অথচ বোর্ডের ভুলের কারণে বাড়তি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে হচ্ছে। সব শিক্ষার্থী মূল ক্যাম্পাসে ভর্তি হলে বাড়তি চাপ পড়বে।
সভায় উপস্থিত একাধিক অভিভাবক জানান, প্রতি বছরের মত এবারও ভিকারুননিসার কলেজ শাখায় ভর্তি বাণিজ্যের পরিকল্পনা হয়েছিল। সেটি ভেস্তে যাওয়ায় অনেকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এ কারণে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তালিকাকে ভুল বলা হচ্ছে। ভর্তি বাণিজ্যে সফল না হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এ কারণে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা আন্দোলন করে। ফলে চাপে পড়ে সব শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাম্পাসে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, একাদশে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী এবার শতভাগ মেধায় ভর্তি করা হবে। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন কোটায় ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ কোটার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর কোটায় ৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরগুলোয় কর্মরতদের সন্তানের জন্য ২ শতাংশ, বিকেএসপি ও প্রবাসী কোটায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
এমএইচএম/এএইচ/এমএস