শিক্ষার্থী স্থানান্তরের প্রতিবাদে ভিকারুননিসায় বিক্ষোভ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ক্যাম্পাসে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীতদের অন্য শাখায় স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দিনভর কলেজের মূল ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় মনোনীতদের ভর্তি করলেও বসুন্ধরা শাখায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি টের পেয়ে মূল ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করে কয়েকশ শিক্ষার্থী-অভিভাবক।
শিক্ষার্থীরা জানান, তৃতীয় মেধা তালিকায় ভিকারুননিসায় মনোনীত হলেও আসনের চেয়ে অতিরিক্ত বলে প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি করাতে চায়নি। বৃহস্পতিবার ভর্তির শেষ দিন হওয়ায় আমরা অনেকে বোর্ডে গিয়ে অভিযোগ জানাই। পরে আমাদের ভর্তি করা হলেও মূল ক্যাম্পাসে রাখা হবে না বলে কলেজ থেকে জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, আমরা ভর্তি হয়েছি মূল ক্যাম্পাসে অথচ বসুন্ধরায় ক্লাস করতে বলা হচ্ছে। আমরা তা মানবো না। মূল ক্যাম্পাসে আমাদের রাখতে হবে। প্রয়োজনে সকলে মিলে আন্দোলন করবো।
একাধিক অভিভাবক জানান, ভিকারুননিসার মূল ক্যাম্পাসে ভর্তি ও ক্লাস করানোর কথা থাকলেও তাদের বসুন্ধরা শাখায় পাঠানো হচ্ছে। বসুন্ধরা নতুন শাখা, সেটার অনুমোদন নেই। ভালো কোনো শিক্ষকও নেই সেখানে। অথচ জোর করে শিক্ষার্থীদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে। আমরা এটি মেনে নেব না। এর প্রতিবাদে মূল ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ শনিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছে। এর মধ্যে যদি আমাদের সন্তানদের মূল ক্যাম্পাসে সুযোগ দেয়া না হয়, তবে আবারও আন্দোলন শুরু করবো।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত ১৩৮ শিক্ষার্থীকে বোর্ডের তালিকায় বেশি মনোনীত করা হয়েছে। মূল ক্যাম্পাসে এসব শিক্ষার্থীদের বসতে দেয়া অসম্ভব। তাই অতিরিক্তদের ভর্তিতে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু বোর্ড থেকে ভর্তি করতে বলায় তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ বলেন, যে শাখাই হোক তা তো ভিকারুননিসা। তাই সেখানে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে আপত্তি থাকার কথা নয়। প্রতি বছর আমরা একটি বা দুটি সেকশন চালু করে থাকি। এবারও তাদের জন্য বসুন্ধরা শাখায় বাড়তি দুটি রুমের একটি সেকশন বাড়ানো হবে।
অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শিফট করানো সম্ভব কিনা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, বসুন্ধরা শাখার অনুমোদন রয়েছে। এটি আমাদের চারটি শাখার একটি। তাই সেখানে তাদের শিফট করা হবে। শনিবার এ বিষয়ে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ভর্তি নীতিমালা না বুঝেই ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ নতুন মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকাকে বাড়তি বলছে। বেশ কিছু শিক্ষার্থী-অভিভাবক অভিযোগ করলে কলেজ অধ্যক্ষকে নতুন মনোনীতদের ভর্তি করতে বলা হয়। যদি তারা কাউকে ভর্তি করতে আপত্তি জানায় বা অনুমোদনহীন কোনো শাখায় শিফট করতে চায় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচএম/এএইচ/এমআরএম/পিআর