একাদশের দ্বিতীয় ধাপেও ভর্তি বঞ্চিত ৪৭ হাজার
আবেদন করেও ভর্তি থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে প্রায় ৪৭ হাজার শিক্ষার্থীকে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু জিপিএ-৫ ধারী রয়েছে। ভর্তির ২য় ধাপের তালিকা প্রকাশের পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে প্রথম ধাপে মোট ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ৯৩ হাজার ৫ শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। ফলে বর্তমানে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ জন। তাদের মধ্যে মোট ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৯২ জন ভর্তির জন্য নিশ্চয়ন করেছেন।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, একাদশ শ্রেণির প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশের পর প্রায় ৬২ হাজার শিক্ষার্থীর কলেজ মনোনীত না হওয়ায় ভর্তি থেকে বঞ্চিত ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় ধাপের ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় নতুন করে প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হলেও ৪৬ হাজার ৫৩১ জন পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। মেধা তালিকায় তাদের নাম না আসায় তারা ভর্তি থেকে বঞ্চিত থাকছেন। তবে তৃতীয় ধাপে তারা আবারও নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন-আর-রশিদ শুক্রবার জাগো নিউজকে বলেন, ’প্রথম ধাপে মোট ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। সেখান থেকে মেধা তালিকায় ১২ লাখ ৩৮ হাজার ২৫২ জনকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য বিভিন্ন কলেজে মনোনীত করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৯৪ শতাংশ ভর্তির সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেধা তালিকায় কলেজে ভর্তি হতে পারছে না সাড়ে ৪৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এরা আগামী ২৪ জুন তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন করতে পারবে। ২৫ জুন দ্বিতীয় মেধার মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় মেধা তালিকার ফল প্রকাশ করা হবে।
তৃতীয় মেধার শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়ন করতে হবে ২৬ জুন। তৃতীয় পর্যায়ের মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু ১ জুলাই থেকে। তবে বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তির সুযোগ থাকছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
ভর্তির সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ পরিদর্শক বলেন, সকলেই ভালো কলেজে ভর্তির দিকে নজর থাকে। এ কারণে সেসব কলেজে আবেদন বেশি পড়ে। কিন্তু সেখানে সীমিত আসন থাকায় জিপিএ-৫ ধারী হলেও সকলকে ভর্তি সুযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেকে ভর্তির জন্য কোনো কলেজে মনোনীত হয়নি। তবে ভর্তি থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। সারাদেশে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে।
ঝরে পড়ার প্রসঙ্গে কলেজ পরিদর্শক বলেন, প্রতি বছর কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। কিছু বিয়ে হয়ে যায়, কিছু বিদেশ চলে যায়, কিছু পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। এ কারণে আবেদন অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হয় না।
এদিকে ২য় পর্যায়ের ফল প্রকাশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৪ ও ২৫ জুনের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে চার্জ বাদে ১৮৫ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি রকেট, টেলিটক অথবা শিওর ক্যাশের মাধ্যমে জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। ২৭ থেকে ৩০ জুন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছে ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন। এর মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
এমএইচএম/এমআরএম/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ৩ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৪ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৫ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ