ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

এমপিওভুক্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ০৯ জুন ২০১৮

এমপিওভুক্তির দাবিতে আগামীকাল থেকে ফের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় শনিবার ‘শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের’ পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা জাগো নিউজকে জানান, এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি থাকলেও প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না থাকায় রোববার থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করব। আশা করেছিলাম, প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ থাকবে। কিন্তু সেটি না থাকায় আমরা হতাশ। তাই রমজানের মধ্যে শিক্ষকরা রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সারা দেশের সব শিক্ষক ঢাকামুখী যাত্রা শুরু করেছেন। রোববার সকাল ৯টা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। এতে প্রায় ৩-৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত হবেন। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। এমপিওভুক্তিকরণ দাবির সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন ছাড়া কোনোভাবেই আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরব না।

এ সংগঠনের অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫-২০ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের চাকরি আছে মাত্র ৫-১০ বছর। এ কারণে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আর অপেক্ষায় না রেখে বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই সমস্যার সমাধান হবে। এত বছর পর কোনোক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আংশিক সমাধান সমীচিন হবে না। স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কিছু সংখ্যক এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিলে অসুস্থ প্রতিযোগিতার উদ্ভব ঘটবে। এ কারণে এমপিওভুক্তির সামগ্রিক সমাধান করতে হবে।

উল্লেখ্য, নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে গত বছরের ২৬-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে দিবারাত্রি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা-কর্মচারীরা। এরপর একই জায়গায় গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশন করেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর ৫ জানুয়ারি আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এমএইচএম/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন