আইসিটি প্রকল্পে সাড়ে ১৩শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষা চালু করা হবে। এজন্য নতুন করে আরও এক হাজার ৩শ ৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সোমবার ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সকল শিক্ষার্থীকে মানসম্পন্ন আইসিটি শিক্ষা প্রদান করা। এজন্য প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে এ বিষয়ে পাঠদান করবেন এবং আমাদের নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলবেন।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ৩১ হাজার ৩৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং দুই হাজার ১২০টি স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২৩ হাজার ৫০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। জেএসসি ও এসএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। অনলাইনে ভর্তিসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব মো. মহীউদ্দিন খান, নায়েমের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং এটুআই প্রকল্পের পলিসি বিশেষজ্ঞ আফজাল হোসেন সারওয়ার বক্তব্য রাখেন। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
এমএইচএম/ওআর/বিএ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ইউজিসি ঘেরাও করে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- ২ গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে জরুরি নির্দেশনা
- ৩ শনিবারও বন্ধ থাকবে স্কুল, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই বহাল
- ৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালে ছুটি ৭৬ দিন, তালিকা প্রকাশ
- ৫ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুনে, বার্ষিক নভেম্বরে