একাদশে ভর্তিতে শতভাগ মেধা, তবে...
কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে এবার শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর অগ্রাধিকার কোটায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। এছাড়া মেধা তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরও ভর্তি নিশ্চিত না করলে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিষয়ক এক সভায় এ ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। জানানো হয়, আগামী ৬ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে এবং একাদশে ভর্তি আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে ১৩ মে। গত বছর ৮৯ ভাগ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ১১ ভাগ কোটায় ভর্তি করা হয়। তবে এবার শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, গতবারের মত এবারও অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন না এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী একটি কলেজে ভর্তির অনুমোদন দেয়া হবে।
শতাভাত মেধা কোটার ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ কোটায় (মুক্তিযোদ্ধা-৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর-৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দফতরসমূহ ২ শতাংশ, বিকেএসপি-০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে এসব কোটায় উপযুক্ত শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯ হাজার টাকা (বাংলা মাধ্যম) ও ১০ হাজার টাকা (ইংরেজি মাধ্যম) ভর্তি ফি নিধারণ করা হবে। সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আবেদন করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ প্রদান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে ২ হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতিত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৩ মে এবং চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম ২৭ জুন থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ জুন। এছাড়া ক্লাস শুরু করতে হবে ১ জুলাই থেকেই।
ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করা হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠাদান অনুমতি বা এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, রাজধানীর সরকারি-বেসরকরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/আরএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন