বাজেটের পর শিক্ষকদের জাতীয়করণ আন্দোলন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকরা। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষকদের ১০ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, বাজেট ঘোষণার পর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। তবে দাবি আদায়ে ১০ মে ঢাকাসহ সব জেলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি এবং ২৬ জুন জেলায় জেলায় সমাবেশ করা হবে। চূড়ান্ত কর্মসূচি দেয়া হবে বাজেট ঘোষণার পর।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ফখরুদ্দীন জিগর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসীন রেজা, মহাসচিব ইয়াদ আলী খান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ এমএ আওয়াল সিদ্দিকী, বিলকিস জামান, সৈয়দ জুলফিকার আলম, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সমন্বয়ক ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুল হক। তিনি বলনে, গত ১৪ মার্চ প্রেস ক্লাবে শিক্ষক সমাবেশে সাতদিনের সময় নিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন। দাবি পূরণে সরকারিভাবে আশ্বাস দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় নেতারা ঘরে বসে থাকতে পারেন না। তাই আসন্ন বাজেটে জাতীয়করণে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, মাত্র ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব। কিন্তু আমলারা এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে দেখাচ্ছেন। এক সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের পক্ষে থাকলেও আমলারা তাকে ভুল বুঝিয়েছেন।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, শিক্ষানীতির আলোকে আমরা ১১ দফা আদায়ে আন্দোলন করছি। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব মহলেই আমাদের দাবি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অথচ দাবি পূরণে এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
এফএইচ/এএইচ/জেআইএম