৩৯তম বিশেষ বিসিএসের জন্য হেল্প লাইন চালু
৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আবেদনে ভুল-ভ্রান্তি এড়াতে হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। হেল্প লাইনে তথ্য জানতে চারটি টেলিটক মোবাইল নম্বর যুক্ত করা হয়েছে। এসব নম্বরে ফোন করে দিক-নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
রোবাবর সরকারি কর্ম কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ক্যাডারে চার হাজার ৭৯২ চিকিৎসক নিয়োগ দিতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। ১০-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম। আবেদন কার্যক্রমে ভুল-ভ্রান্তি এড়াতে নতুন করে হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। হেল্প লাইনে টেলিটকের চারটি নম্বর দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে- ০১৫৫৫-৫৫৫১৪৯, ০১৫৫৫-৫৫৫১৫০, ০১৫৫৫-৫৫৫১৫১ এবং ০১৫৫৫-৫৫৫১৫২ নম্বর রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, এসব হেল্প লাইনে আবেদন কার্যক্রম চালাকালীন সময়ে কল করে প্রার্থীরা আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে পারবে। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হেল্প লাইনে তথ্য দেয়া হবে।
জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল কমিশনের ওয়েবসাইটে বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াও পরীক্ষার সিলেবাস ও নির্দেশাবলী প্রকাশ করা হয়। এই বিসিএসের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫৪২ সহকারী সার্জন ও ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ পাবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২১-৩২ বছর বয়সীরা এই বিসিএসে অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের লিখিত ও ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে এককালীন চিকিৎসক নিয়োগ দিতে এর মধ্যে বিধিমালাও সংশোধন করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, ২০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় হবে ২ ঘণ্টা। নম্বরও বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। মেডিকেল সায়েন্স/ডেন্টাল সায়েন্সে (প্রযোজ্যতা অনুযায়ী) ১০০, বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, মানসিক দক্ষতা ১০, গাণিতিক যুক্তি ১০।
প্রতিটি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন এবং ভুল উত্তরের জন্য আধা (০.৫০) নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর কমিশন নির্ধারণ করবে এবং তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০। লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকায় হবে। সাধারণত বিসিএসে ২০০ নম্বরের জন্য চার ঘণ্টার এবং ১০০ নম্বরের জন্য তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হয়।
সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ২০০ নম্বরের মৌখিকসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। আর সাধারণ ক্যাডারের বাইরে অন্য কোনো ক্যাডারে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।
এমএইচএম/জেএইচ/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ছাত্রদের বিতর্কিত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে
- ২ গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল
- ৩ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন চাকরি ছাড়া কিছুই ভাবতে দিচ্ছে না
- ৪ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব