বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তাৎপর্য লিখে পুরস্কার পেলেন ২০ শিক্ষার্থী
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন ২০ শিক্ষার্থী। শনিবার তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ : বাঙ্গলি জাতীর ঐতিহাসিক দলিল’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ৩ হাজার ৬শ’শিক্ষার্থী অংশ নেন। রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ এ রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় মোট ৭০০টি রচনা নির্বাচন করা হয়। সেখান থেকে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ২০ শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। তাদের ক্রেস্ট, ২০ হাজার টাকার টাকার চেক ও সনদ প্রদান করা হয়।
রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি স্কুলের বিজয়ী ছাত্রী ফাহমিনা নাজনিন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে রচনা লেখার মত দুঃসাহস করার সুযোগ করে দিয়েছে আইডিয়াল কলেজ। এ জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। যদিও আমি খুবই ছোট মানুষ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না, তারপরও আমি এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছি, এ জন্য আমি গর্ববোধ করছি’।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জোর করে চাপিয়ে দিয়ে ভাল কিছু পাওয়া যায় না। বরং তাদের স্বাধীনভাবে সৃজনশীলতার সুযোগ করে দিতে হবে। তবেই তাদের কাছ থেকে ভাল কিছু পাওয়া যাবে’।
প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রতিষ্ঠান ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এতে স্কুল পর্যায়ে ১০ জন ও কলেজ পর্যায়ে ১০ শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়েছে’।
অনুষ্ঠানে ধানমন্ডি কলেজের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হওয়ায় চেতনা নামে একটি বার্ষিকীর মোড়ক উন্মচন করা হয়।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সৈয়দ রেজাউল রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগমসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এমএইচএম/এমএমজেড/এমএস