কারিগরি শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে : শিক্ষামন্ত্রী
কারিগরি শিক্ষাই হবে দেশের টেকসই উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছি। তাই কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি)’ এর আওতায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ড. মো. মোখলেসুর রহমান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ, বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি মি. শিরো নাকাতা, সিঙ্গাপুরের নানইয়াং পলিটেকনিকের পরিচালক মি. এন্থনি উন, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন বক্তব্য দেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্বের উন্নত যে কোনো দেশে কারিগরি শিক্ষার হার ৬০ শতাংশের অধিক। আমরা এখনো অনেক পেছনে আছি। তবে ২০০৯ সালের আগে এ হার ছিল ১ শতাংশ। বর্তমানে তা ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রণয়ন করা হয়েছে বাস্তবভিত্তিক কর্ম-পরিকল্পনা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা হতে হবে দক্ষতা নির্ভর। প্রত্যাশিত দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অধিকাংশকেই বেকারত্বের জ্বালা ভোগ করতে হয়, সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও রাষ্ট্র বেকারত্বের বোঝা বহন করে। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর এরমধ্যে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কারিগরি শিক্ষাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাসহ কারিগরি শিক্ষায় অগ্রসর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা ও সহযোগিতা আদান-প্রদানের পথ প্রশস্ত করা।
সম্মেলনে চীন, সিংঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভারত ও স্কটল্যান্ডের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, অধ্যক্ষ, শিল্প-কারখানার মালিক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এএইচ/পিআর