প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে কমিটি
প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি। তার মধ্যে কোনটির আংশিক ও একটির পুরোপুরি প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এসব মূল্যায়ন করে ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে কমিটি।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় পুনরায় বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।
রোববার এসএসসি পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির দ্বিতীয় দিনের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
সচিব বলেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিংক পাওয়া যাচ্ছে। সেসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এতে অনেক ভিআইপির নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারিতে রেখেছে। সব বিষয় মূল্যায়ন করে সুপারিশ করা হবে।
তিনি বলেন, যদি ফাঁস প্রশ্নের সঙ্গে নৈর্ব্যক্তিক অংশটুকু মিলে যায় তবে আমরা শুধু নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করবো। যদি সেসব প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা এক দুই ঘণ্টার আগে ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে, পরীক্ষা শুরুর পরে প্রশ্নফাঁস হলে তা আমলে নেয়া হবে না।
এ পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ৬০-৭০ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বাকিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক হাই প্রোফাইলের ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে মূল প্রশ্নের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে এমসিকিউয়ের মিল পাওয়া গেছে। আর একটি পরীক্ষার পুরোপুরি মিল পাওয়া গেছে। এসবের কারণে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কতটা প্রভাব পড়েছে তার ওপর ভিত্তি করে সেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষার তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি কমিটি পূণাঙ্গ সুপারিশমূলক প্রতিবেদন জমা দিবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এমএইচএম/জেএইচ/আইআই