‘পরীক্ষার সময় সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করুন’
স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছে ২০ লাখের অধিক শিক্ষার্থী।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর আগেও রাজনৈতিক সহিংস কর্মসূচির কারণে পাবলিক পরীক্ষা ধারাবাহিকভাবে আয়োজনে ব্যাঘাত হয়। পরবর্তীতে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আশা করি এবার ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে এমন কোনো কর্মসূচি আপনারা দেবেন না, যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা রাজনীতি করেন তারা তো জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রাখার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো।’
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরেুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে। ওই রায়কে ঘিরে ইতোমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির অঙ্গন। গতকাল খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রিজন ভ্যান থেকে আটক তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপিকর্মীরা। ফলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা যায়।
ফেসবুক বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেসবুক বন্ধ রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই। এটি যেসব মাধ্যম দিয়ে পরিচালিত হয় তা পরীক্ষার সময় একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখার চেষ্টা চলছে।
শিক্ষামন্ত্রী আবারো পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, যানবাহন ও দূরত্ব বিবেচনায় তোমরা বাসা থেকে রওনা হবে। যাতে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসতে পারো।
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এগুলো পরীক্ষা শুরুর সাতদিন আগে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি কেউ কোচিং সেন্টার চালান তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোচিং সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা আইন হলেই কোচিং সেন্টারগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এবার এসএসসি পরীক্ষায় ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ আট হাজার ৬৮৭ জন।
এমএইচএম/এমএআর/আরআইপি
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ছাত্রদের বিতর্কিত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে
- ২ গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল
- ৩ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন চাকরি ছাড়া কিছুই ভাবতে দিচ্ছে না
- ৪ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব