জাতীয়করণের দাবিতে অনশনে প্রাথমিকের শিক্ষকরাও
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয়করণের একদফা দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। জাতীয়করণ না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয়করণের তৃতীয় ধাপে বঞ্চিত হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ছয় দিন অবস্থান ধর্মঘট পালনের পর গতকাল শনিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। অথচ সব শর্ত পূরণ হওয়ার পরও আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়নি। বঞ্চিত করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয়কে।
তিনি বলেন, মরতে হয় মরবো, তবুও জাতীয়করণের দাবি আদায় না পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
সংগঠনের মহাসচিব কামাল হোসেন বলেন, শর্ত অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়নি। তালিকাভুক্ত থাকার পরও নানা কৌশলে আমাদের বাতিল করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নেবো না। জাতীয়করণ আদায়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় হওয়া না পর্যন্ত শিক্ষকরা রাস্তায় পড়ে থাকবেন। তবে তাদের বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
শিক্ষকরা দাবি করেন, টানা আট দিনের আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। অনেকে আবার শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুইজন শিক্ষক ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ব্যস্তময় সড়কের উপর বসে শুয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমএইচএম/এআরএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন