উত্তরা মেডিকেলে ভর্তিতে অনিয়ম : ব্যাখ্যা চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-২০১৮) এমবিবিএস কোর্সে মেধা তালিকাকে উপেক্ষা করে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগের ব্যাপারে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখা চেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
গত ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখার উপ-সচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত ও জারিকৃত এক সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম ও অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে ভর্তি সম্পন্ন করার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষের কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-২০১৮) উত্তরা মেডিকেলে সাধারণ কোটায় ‘আগে আসলে আগে ভর্তি’ ভিত্তিতে ৫৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা মো. আবদুর রশীদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তড়িঘড়ি করে ভর্তির তথ্য উঠে আসে। অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ৫৭ শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রমে ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ এ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সম্প্রতি এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের আপিলের বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এমইউ/এমএমজেড/জেআইএম