যে দুই বিষয়ে কুমিল্লা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে
আবারও কুমিল্লা বোর্ডের ফলে ভয়াবহ ধ্স নেমেছে। যে কারণে অন্যান্য বোর্ডের চাইতে জেএসসি পরীক্ষার পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ পিছিয়ে কুমিল্লা। ফলাফল খারাপ করাতে কারণ বের কারতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে বোর্ড।
ফলাফলে পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ছালাম জাগো নিউজকে বলেন, এবারও কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজি ও গণিতে খারাপ ফল এসেছে। ইংরেজিতে ৩৯ দশমিক ৩০ শতাংশ ও গণিতে ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় কুমিল্লা বোর্ডের ফলে ধ্স নেমেছে।
এবার এ বোর্ডে পাসের হার ৬২.৮৩ শতাংশ। এ বছর ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৮৭৫ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে। এবার সাড়ে ৫ হাজার মেয়ে এবং ৩ হাজার ৩৭৫ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৮৬ জন, ২০১৫ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৪৭ জন, ২০১৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬৪ জন এবং ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫ জন।
এবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ছয়টি জেলায় এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার পর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে। এ বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৬২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যা গত চার বছরের তুলনায় অনেক কম।
মোহাম্মদ আব্দুল ছালাম বলেন, মফস্বলের চাইতে শহরের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। শহরের স্কুলগুলোতে ভালো মানের শিক্ষক থাকায় এমন চিত্র তৈরি হয়েছে। এক স্কুলের শিক্ষকদের অন্য স্কুলে পরীক্ষার পরিদর্শনের দায়িত্ব দেয়াটাও ফল খাপার হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজন করাটাই ছিলো আমাদের মূল লক্ষ্য। সে বিষয়ে আমরা সফল হয়েছি। তবে ফল খারাপ হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বোর্ডের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হবে। ফল খারাপ হওয়ার কারণগুলো খতিয়ে দেখে তা সমাধানে কাজ করবে কুমিল্লা বোার্ড।
এমএইচএম/জেএইচ/আরআইপি