প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫.১৮ শতাংশ, ইবতেদায়িতে ৯২.৯৪
এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় প্রাথমিকে পাসের হার কমেছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে কমেছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত বছর প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫১ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দুটি পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার ২১৪ জন জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।
এবার দুটি সমাপনীতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৬৩২ জন। এরমধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন, অপরদিকে ইবতেদায়িতে পেয়েছে ৫ হাজার ২৩ জন।
গত বছর মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৬। এরমধ্যে প্রাথমিকে দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন, অপরদিকে ইবতেদায়িতে পাঁচ হাজার ৯৪৮ জন।
শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে সকালে গণভবনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
প্রাথমিকে মোট অংশ নিয়েছে ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৭১ জন। অপর দিকে ইবতেদায়িতে অংশগ্রহণ করেছে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৪ জন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সারাদেশে ইংরেজি ভার্সনে ১১ হাজার ২৬৯ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। এরমধ্যে ১১ হাজার ২০৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ছয় হাজার ৩৬৬ জন ও ছাত্রী চার হাজার ৮৩৭ জন।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তিন হাজার ৯৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিন হাজার ৫৫৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। ইবতেদায়িতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৩৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩১৪ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ।’
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা গত ১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। ২০০৯ সালে প্রথম প্রাথমিক সমাপনী শুরু হয়। ইবতেদায়ি সমাপনী শুরু হয় আরও এক বছর পর। সেই অনুযায়ী নবমবারের মতো প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টমবারের মতো ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হলো।
যেভাবে ফল জানা যাবে
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল www.dpe.gov.bd ও http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে Primary Terminal Result অ্যাপের মাধ্যমেও ফলাফল পাওয়া যাবে।
এসএমএসের মাধ্যমে প্রাথমিক সমাপনীর ফল পেতে যেকোনো মোবাইল থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখে স্পেস দিয়ে 2017 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি ম্যাসেজে ফল জানানো হবে।
ইবতেদায়ির ক্ষেত্রে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে EBT লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখে স্পেস দিয়ে 2017 লিখে 16222 নম্বরে পাঠালে ফল জানা যাবে।
আরএমএম/বিএ/আইআই
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ‘ওএসডি’ নয়, অবসরে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার
- ২ বুয়েটে প্রাক-নির্বাচনীতে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ, নির্বাচিত ২৪২০৫
- ৩ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছে ভর্তি পরীক্ষা, বদলে যাচ্ছে পদ্ধতিও
- ৪ এনসিটিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিকসহ সব ছুটি বাতিল
- ৫ ‘শিক্ষা ক্যাডার’ বাতিলের পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে কঠোর কর্মসূচি