প্রাথমিকের বর্ষসেরা নির্বাচনে দুর্নীতি
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৭ এর জন্য শ্রেষ্ঠদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরাদের নির্বাচন করা হয়। এরপর তাদের স্বর্ণপদকের মাধ্যমে ‘বর্ষসেরা’ সম্মানে ভূষিত করা হয়ে থাকে। এবার সেরা স্কুল পরিচালনা কমিটি (এসএমসি) নির্বাচনে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। ২৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার চিকদাইর মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আলমগীর কবীর চৌধুরী শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত হন। তাকে বাদ দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে অন্য আরেকটি স্কুলের সভাপতির নাম পাঠায় বিভাগীয় বাছাই কমিটি। এরপর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসএমসি নির্বাচনে দুর্নীতির প্রমাণ পায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সফল বাস্তবায়ন ও গুণগত মানোন্নয়নে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা পদক দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ে বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি নীতিমালায় বলা আছে। নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিপিই) নির্দেশ দিয়েছি।
চিকদাইর মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আলমগীর কবীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পরে স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করি। সে অনুযায়ী স্কুলের সীমানা প্রাচীর, দুটি পরিত্যাক্ত ক্লাসরুম সংস্কার, টয়লেট ও ওয়াশব্লক, শিশুপার্ক ও শহীদ মিনার নির্মাণ, খেলার মাঠসহ স্কুলের নানা উন্নয়ন করেছি। ব্যক্তিগতভাবে ১৫ লাখ টাকা খরচ করে আনন্দের সঙ্গে স্কুলে শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এসব বিবেচনায় আমাকে রাউজান উপজেলার শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হই।
তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সময় সব জেলার শ্রেষ্ঠদের প্রোফাইল আমরা দেখাদেখি করি। আমার প্রোফাইল দেখে সবাই বলেন, আমি বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হব। কিন্তু দুর্নীতিবাজ বাছাই কমিটি আমার নাম বাদ দিয়ে অন্য একজনকে নির্বাচিত করে। জানতে পেরে আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
আলমগীর কবীর চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপিইর অতিরিক্ত মহাপরিচালকে (এডিজি) তদন্ত করার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এডিজি মে. রজমান আলী সরেজমিন তদন্ত করে গত মাসে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে গত ১২ ডিসেম্বর ব্যবস্থা নিতে ডিপিইতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সেখানে সাত পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভাগীয় বাছাই কমিটির বিচারক প্যানেল চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতির কর্মকাণ্ডের কাগজপত্র পর্যালোচনাসহ সাক্ষাৎকার নেন। বিচারকদের মূল্যায়ন রিপোর্টে ৯৪ নম্বর পেয়ে আলমগীর কবীর প্রথম হন। দ্বিতীয় হন মানিকছড়ির গচ্ছাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সামায়উল ফরাজী। রিপোর্টে অন্য প্রতিযোগীদের প্রাপ্ত নম্বর ও স্থান উল্লেখ করা হয়নি। মূল্যায়ন রিপোর্টে মো. আলমগীর কবীরের নামের সামনে প্রথম স্থান কেটে অনুস্বাক্ষর করা হয়েছে। আর মাইজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এ এস এম ফরহাদ হাসানের প্রাপ্ত নম্বরের ঘরে প্রথম স্থান লেখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৭ বাছাই করতে বিভাগীয় পর্যায়ের মূল কমিটি শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচনে বিচারকদের মূল্যায়ন রিপোর্ট আমলে নেয়নি। কমিটি এ এস এম ফরহাদ হাসানকে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত করে জাতীয় বাছাই কমিটির সভাপতি ডিপিই মহাপরিচালকের কাছে ফলাফল পাঠায়। ফলাফলের শিটে ফরহাদ হাসানকে ৯১ নম্বর দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিটিতে নয়জন সদস্য থাকলেও ফলাফলের শিটে মাত্র চারজন স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের অফিসে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল শিটে স্বাক্ষর করলেও তিনি কোনো কমিটির সদস্য নন। এমনকি কারো প্রতিনিধিও নন।
বিভাগীয় বাছাই কমিটির তৈরি করা ফলাফল শিটে অন্য ১০ জনের মূল্যায়ন রিপোর্ট নেই উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভাগীয় কমিটি এসএমসি সভাপতি নির্বাচনে কোনো সভা করেননি। সভার কার্যবিবরণীও নেই। তারা শুধু একজনের বিষয়ে মূল্যায়ন করেছেন। বাকি ১০ জনের বিষয়ে কোনো মূল্যায়ন করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগীয় বাছাই কমিটির সভাপতি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন। বর্তমানে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। বাছাই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক, স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক।
সুষ্ঠুভাবে চারটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনের জন্য বিভাগীয় মূল বাছাই কমিটি চারটি বিচারক প্যানেল গঠন করে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দা সারোয়ার জাহানকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এসএমসি নির্বাচনে বিচারক প্যানেল গঠন করা হয়।
বিভাগীয় বাছাই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী (অতিরিক্ত সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) মো. রুহুল আমীন বলেন, বাছাই কমিটির সর্বসম্মতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৭ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ এসএমসি নির্বাচন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব, অনিয়ম, দুর্নীতি হয়নি। অন্যান্য ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি নেই। বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় কমিটির সিদ্বান্তই চূড়ান্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে কমিটির সদস্য ও জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও করেননি।
বিচারক প্যানেলের সভাপতি ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দা সারোয়ার জাহান বলেন, ১১ জেলার শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতির সব কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে এবং প্রত্যেকের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের বিচারে রাউজান উপজেলার আলমগীর কবীর চৌধুরীই বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ এসএমসি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল্যায়ন রিপোর্ট মূল কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। মূল কমিটি কাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করেছে তা আমার জানা নেই।
পদক প্রদান নীতিমালা অনুযায়ী, বিদ্যালয়, ইউনিয়ন, উপজেলা বা থানা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে বাছাই হয়ে জাতীয় পর্যায়ে দেশসেরা নির্বাচিত হবেন। প্রত্যেক পর্যায়ের বাছাই কমিটি সভা করে প্রতিযোগিতার স্থান ও সময় নির্ধারণ, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রচার, বিচারক প্যানেল তৈরি ও নিয়োগ দেবেন। প্রতিযোগিতার ফলাফল সংরক্ষণ করবেন। শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনের পর সংশ্লিষ্ট বাছাই ছক পূরণ ও প্রামাণ্য কাগজপত্র ডিপিইতে পাঠাবেন।
জাতীয় পর্যায়ের বাছাই কমিটি কার্যক্রমে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পর্যায়ে বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি হলে সংশ্লিষ্টদের নিকট ব্যাখ্যা চাইতে পারবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। প্রয়োজনে সরেজিমন তদন্ত করে তথ্য যাছাই করে ব্যবস্থা নেবেন।
রাজশাহী বিভাগের অনিয়ম :
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন ক্যাটাগরির শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচিত হতে হলে অবশ্যই বাছাই কমিটির সাক্ষাৎকারে উপস্থিত থাকতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, চাঁপাইনববাবগঞ্জের পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট রুহুল আমিন ২২ আগস্ট জাপান যান।
তিনি জাপানে অবস্থান করলেও তাকে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুপারিনটেনডেন্ট রুহুল আমিন বলেন, ২৫ আগস্ট সাক্ষাৎকার দিয়ে পরদিন জাপান গেছি। আমার এ অর্জনে অনেকে খুশি হতে পারেননি। তারাই এসব অভিযোগ করছেন। একই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগের একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক আবুল খায়ের ফোন করে সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিষেধ করেন। তার ভয়ে কোনো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অংশ নেননি। চাঁপাইনববাবগঞ্জের দুই কর্মকর্তা আমের মৌসুমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুস্বাধু আম সরবরাহ করেন। আমের বিনিময়ে তাদের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রাজশাহী আঞ্চলের উপপরিচালক আবুল খায়ের কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডিপিই সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী ও বিশেষ অবদান রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ স্কুল, শিক্ষক, কাব শিক্ষক, এসএমসি, বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী, কর্মচারী, সহকারী ইউআরসি বা টিআরসি ইন্সট্রাক্টও, ইউআরসি বা টিআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা, পিটিআই, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, পিটিআই সুপারিনটেনটেন্ড, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে এ ধরনের ২০টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পদক প্রদান করা হয়।
২০১৭ সালের পদক দেয়ার জন্য গত ১৩ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে ২০ জুলাই উপজেলা ও থানা, ৬ আগস্ট জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এবং ৩১ আগস্টের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচন করতে বলা হয়। বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব বাছাই প্রতিযোগিতা চলছে। এরপরে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রেষ্ঠদের পদক বিতরণ করবেন। আগামী ৩ অথবা ৪ জানুয়ারি পদক বিতরণ অনুষ্ঠান করার সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিপিই মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা মো. রমজান আলী বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ এসএমসি নির্বাচনে যথেষ্ট ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। আমি দুদিনের জন্য ডিজির দায়িত্বে রয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি প্রশাসন শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
ডিপিইর সংস্থাপন ও প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, চট্টগাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ এসএমসি নির্বাচনে অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পদক বিতরণ কমিটির সভায় সিদ্বান্ত নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্ব পদক বাতিল করা হতে পারে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনিয়ম করলে বিভাগীয় মামলাও করার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এমএইচএম/জেডএ/বিএ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন