শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে স্থবির সরকারি কলেজ
নতুন জাতীয়করণ করা কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত না করা এবং জাতীয়করণ শিক্ষকদের নিয়োগ বিধিমালার দাবিতে দুই দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা।
‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ দাবি উত্থাপন করে বিসিএস শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের ফলে আজ (রোববার) দেশের সব সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), সব শিক্ষা বোর্ড, সরকারি টির্চাস টেনিং কলেজসহ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও কাজ বন্ধ রয়েছে। সোমবার শেষ হবে এ কর্মবিরতি।
বিভিন্ন কলেজ ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষকদের এ কর্মসূচি পালনের কারণে দেশের সব সরকারি কলেজ খোলা থাকলেও পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নিজ নিজ কলেজের সামনে শিক্ষকরা সারিবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। দাবি আদায়ে আবারও আগামী ৬ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করবেন বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষকরা।
কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারী বিসিএস শিক্ষকরা বলেন, জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের যদি শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে আত্তীকরণ করা হয় তাহলে লাগাতার অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে। জাতীয়করণ শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি মেনে নেবে না।
তারা আরও বলেন, ক্যাডার বহির্ভূত রেখেই জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। তাই কোনোভাবেই তাদের ক্যাডারভুক্তের সুযোগ নেই।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বিসিএস শিক্ষা সমিতির মর্যাদা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তাই কোনোভাবেই জাতীয়করণ হওয়া সাধারণ কলেজ শিক্ষকদের তাদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এ দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি মাসেও ৩ দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
এমএইচএম/এমএমজেড/আইআই
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ‘সংঘর্ষ এড়াতে’ সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
- ২ প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার মাঝে ৩ মাস সময় চান প্রার্থীরা
- ৩ সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- ৪ সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি হচ্ছে
- ৫ সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, অবরোধ স্থগিত