প্রশ্নে ভুল : অস্তিত্বহীন কর্মকর্তা বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন সংশোধন
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুলের জন্য অস্তিত্বহীন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করা হয়েছে। সমালোচনার মুখে আগের প্রজ্ঞাপনের তারিখ ও স্মারকে সংশোধিতটি জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই আদেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামানের স্বাক্ষর ছিল।
পরে দেখা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরে ওই নামে কোনো সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেই। এ নিয়ে জাগো নিউজ ‘সমাপনীর প্রশ্নপত্রে ভুল : বরখাস্ত হলেন অস্তিত্বহীন কর্মকর্তা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব স্বাক্ষরিত সংশোধিত আদেশে বলা হয়, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের প্রাক্তন সহকারী ইন্সট্রাক্টর এবং বর্তমানে প্রেষণে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল মান্নান মিয়াকে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫’ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে ২৩ নভেম্বর থেকে বরখাস্ত করা হলো।
গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সিলেটে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ পরীক্ষার ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নপত্রে অর্ধ শতাধিক ভুল ছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব ভুল ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সমালোচনায় মুখর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা শনিবার সকালে নাম প্রকাশ না করে ফোনে জানান, প্রাথমিক সমাপনীতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে ময়মনসিংহের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ)। ন্যাপ থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ওই বরখাস্তের আদেশটি জারি করা হয়েছিল। তথ্য ভুল থাকায় সেটি আবার সংশোধনও করা হয়েছে।
আরএমএম/বিএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন